কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ধসে সাত শিশু নিহত ও অন্তত ৫৭ হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার ক্লাশ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পরই প্রিসিয়াস ট্যালেন্ট টপ স্কুলের কাঠের কাঠামো ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্থানীয় সময় ৭টার একটু আগে শ্রেণিকক্ষটি ধসে পড়ে, তখনই দ্রুততার সঙ্গে কয়েক ডজন শিশুকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
কেনিয়া সরকারের মুখপাত্র সাইরাস ওগুনা বলেছেন, সাত শিশু নিহত হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৫৭ জন শিশুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরে কেনিয়াত্তা ন্যাশনাল হাসপাতাল টুইটারে জানিয়েছে, তাদের হাসপাতালে ৬৪ জন শিশুকে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় আইনপ্রণেতা জন কিয়ারি এনটিভি কেনিয়াকে জানিয়েছেন, স্কুল ভবনের প্রথম তলা ধসে পড়েছে, শিশুরা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে উদ্ধারকর্মীদের ধাতুর শিট ও কংক্রিটের স্ল্যাব সরিয়ে মৃতদেহ ভরা সাদা ব্যাগসহ অ্যাম্বুলেন্সের দিকে যেতে দেখা গেছে।
শ্রেণিকক্ষ ধসে পড়ার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা জায়নি; কিন্তু কোনো অনুমোদন ছাড়াই নাইরোবিতে গড়ে তোলা ৩০ থেকে ৪০ হাজার ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে কর্তৃপক্ষ আগেই সতর্ক করেছিল।
তবে স্কুলটির চিকিৎসক মোজেস নদিরাঙ্গু শ্রেণিকক্ষ ধসে পড়ার জন্য নিকটবর্তী একটি সুয়ারেজ পাইপকে দায়ী করেছেন, সেটি ভবনটির ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছিল বলে মনে করছেন তিনি।
তিন বছর আগে ভারী বৃষ্টিপাতের পর নাইরোবিতে ছয়তলা একটি ভবন ধসে ৫১ জন নিহত হয়েছিল।