ই-সিগারেট নিষিদ্ধের চিন্তা সরকারের

মত ও পথ প্রতিবেদক

ই-সিগারেট
ফাইল ছবি

সরকার ইলেক্ট্রনিক সিগারেটসহ সব ধরনের ধুম্র উদ্গীরক তামাক পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি বন্ধ নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সম্প্রতি ভারত ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে। তারও আগে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ৩০টির বেশি দেশ ই-সিগারেট বিক্রয় ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যে ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব তুলে ধরে স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের একথা জানান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক বন্দনা শাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সচিব বলেন, ই-সিগারেটসহ নতুন ধরনের সব তামাক পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি যতো দ্রুত সম্ভব নিষিদ্ধ করতে হবে। শীর্ষ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।

ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ ৩০টির বেশি দেশে এসব তামাক নিষিদ্ধের কথা তুলে ধরে সচিব বলেন, বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

দেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী ৩৫ শতাংশের বেশি মানুষ নানা রকম তামাক সেবন করে। তবে কি পরিমাণ মানুষ ই-সিগারেট পান করে তার সংখ্যা জানা যায় না। এর প্রভাব নিয়ে বলার মতো কোনো পরিসংখ্যানও নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের হিসাবে, দেশটিতে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তাদের স্কুলের শিশুদের মধ্যে ই-সিগারেট সেবনের হার ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮০৫ জনের ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়া ও ১২ জনের মৃত্যুর পেছনে ই-সিগারেট ও ধূম্রউদ্গীরক তামাকের ভূমিকা রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে