বিশাখাপত্তম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষেই বড় প্রশ্ন ছিল, লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের পথে ছুটবে দক্ষিণ আফ্রিকা? নাকি জয়ের আশা ছেড়ে সারাদিন ব্যাটিং করে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকবে তারা?- এ দুই প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা ছিলো ম্যাচের পঞ্চম দিন পর্যন্ত।
আজ রোববার ম্যাচের পঞ্চম দিন কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বরং তাদের হয়ে যা করার করে দিয়েছে স্বাগতিক ভারত। অবশ্য সেটি ছিল নয়া প্রোটিয়াদের পক্ষে। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে পড়ে লক্ষ্য তাড়া করা কিংবা সারাদিন ব্যাট করে ড্র করা- কোনোটাই সম্ভব হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে।
তাই তো শেষ দিনের প্রথম সেশনের পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফলাফল। যেখানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ড্যান পিয়েট ও অভিষিক্ত সেনুরান মুথুসামির ব্যাটিং দৃঢ়তায় পরাজয়ের ব্যবধান ২০৩ রানে নামাতে পেরেছে ভারত।
ভারত নিজেদের দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৩২৩ রানে, ফলে প্রথম ইনিংসের ৭১ রানের লিডসহ দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের। এ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম দিন মাত্র ১১ রান তুলতেই ১ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ফলে শেষদিন জয়ের জন্য ৩৮৪ রান অথবা ড্রয়ের জন্য খেলতে হতো অন্তত সারাদিন।
কিন্তু প্রথম সেশনে মাত্র ১০৬ রান যোগ করে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা, ৮ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে যাওয়ার সময়েই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় প্রোটিয়াদের পরাজয়। মূলত ৭০ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
- আরও পড়ুন >> ফের রিমান্ডে জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষী
সেখান থেকে নবম উইকেট জুটিতে ৯১ রান যোগ করেন পিয়েট ও মুথুসামি। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে ৫৬ রান করে আউট হন পিয়েট। তবে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৪৯ রানে অপরাজিতই থেকে যায় মুথুসামি। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় ১৯১ রান, ভারত পায় ২০৩ রানের বিশাল জয়।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৫ উইকেট নেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ শামি। এছাড়া রবিন্দ্র জাদেজা ৪ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন ১ উইকেট। এই এক উইকেটের মাধ্যমেই মুরালিধরনের সঙ্গে যৌথভাবে টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ৩৫০ উইকেট শিকারি হয়েছে এ ভারতীয় অফস্পিনার।