শারমিন মিথ্যাচার করেছেন : সম্রাটের বোন

ডেস্ক রিপোর্ট

শারমিন চৌধুরী- ফারহানা চেৌধুরী
শারমিন চৌধুরী- ফারহানা চেৌধুরী

‘জুয়া খেলা সম্রাটের নেশা’ আলোচিত যুবলীয় নেতার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চৌধুরীর এমন বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলেও দাবি করেছেন ইসমাইল হোসেন চেৌধুরী সম্রাটের বোন ফারহানা চেৌধুরী।

ফারহানা বলেন, ‘শারমিন চৌধুরী লোভী প্রকৃতির একজন নারী। সে সব সময় টাকার জন্য আমার ভাইকে যন্ত্রণা দিত। এজন্য সম্রাট তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এই ক্ষোভ থেকেই সে এসব কথা বলেছে।’

রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলার পূর্বসাহেব নগরের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট নির্দোষ বলেও দাবি করেন বোন ফারহানা চেৌধুরী। তিনি বলেন, সম্রাটকে ফাঁসানো হয়েছে।

সম্রাট অসুস্থ দাবি করে তিনি বলেন, আমার ভাই হার্টের রোগী। তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। তার মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট সহযোগী আরমানসহ কুমিল্লার চেৌদ্দগ্রামে গ্রেফতার হন। সম্রাট গ্রেফতার হওয়ার পর রোববার বিকালে তার মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায় যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চেৌধুরী।

শারমিন বলেন, ‘ওর সম্পদ বলতে কিছুই নেই। ক্যাসিনো চালিয়ে ও যে আয় করে তা দলের জন্য খরচ করে, দল পালে। আর যা থাকে তা দিয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে জুয়া খেলে।’

ক্যাসিনো চালিয়ে দল পালে এটা জানেন কী করে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওর জনপ্রিয়তা দেখেই বোঝা যায়। ওর মতো জনপ্রিয়তা আর কার আছে? একমাত্র সম্রাটের জনপ্রিয়তা আছে। ঢাকা উত্তর যুবলীগ সভাপতি নিখিলের তো এত জনপ্রিয়তা নেই।’

ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতে নিষেধ করতেন কিনা জানতে চাইলে সম্রাটের স্ত্রী বলেন, ‘না। আমার সঙ্গে ওর মিলতো কম। ছেলেপুলে নিয়ে ও চলতে বেশি ভালোবাসত।’

তিনি বলেন, ‘সম্রাট অ্যারেস্ট হয়েছে আমি জানি। ওর সঙ্গে আমার দুই বছর ধরে কোনো সম্পর্ক নেই। ও যে ক্যাসিনো গডফাদার তা আমি জানি না। আমি জানি ও যুবলীগ করে, ও ভালো একটা নেতা। উত্তর-দক্ষিণের সবাই জানে ও ভালো একটা নেতা। আর আমিও সেটা জানি।’

‘আমার সঙ্গে দুই বছরের দূরত্ব হওয়ায় ও যে এত বড় ক্যাসিনো চালাইতেন তা জানি না।’

সম্রাটের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে শারমিন বলেন, ‘ওর নাম যেমন সম্রাট ও শুরু থেকেই সম্রাট। ও কিন্তু সহ-সভাপতি বা অন্যদের মতো না। ও খুব ভালোভাবে চলাফেরা করে। কিন্তু ক্যাসিনোতে ও কীভাবে আসল তা জানি না।’

সম্রাট সিঙ্গাপুরে কেন যেতেন-এমন প্রশ্নে শারমিন বলেন, ‘ও জুয়া খেলতে সিঙ্গাপুরে যেত। জুয়া খেলা তার নেশা। সম্পত্তি করা তার নেশা নয়। দোকান, গাড়ি. ফ্ল্যাট-এগুলো তার নেশা নয়।’

সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সম্রাটের ছবি আছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে দুই বছর ধরে সিঙ্গাপুরে নেয় না। ওখানে বোধ হয় চায়না প্লাস মালয়েশিয়া ব্রোনমিক্সড মেয়ের সঙ্গে ওর সম্পর্ক হয়েছে। সিঙ্গাপুর গেলে ওর সঙ্গে সময় কাটায়।’

আপনাদের বিয়ে হয়েছে ১৯ বছর। তখন সম্রাটদের পারিবারিক অবস্থা কেমন ছিল আর এখন কেমন?

এ বিষয়ে শারমিন বলেন, ‘সম্পদের দিক থেকে আগে যেমন ছিল এখন ঠিক তেমনই। আমি বলি সম্রাটের কোনো নেশা নেই- ফ্ল্যাট করার, গাড়ি করার, একমাত্র নেশাই জুয়া খেলা।’

আপনি কত নম্বর স্ত্রী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমার আগে একটা বিয়ে করেছিল ওটা ডিভোর্স হয়ে গেছে। সে বাড্ডাতে থাকত।

শারমিন চেৌধুরীর এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন তার বোন ফারহানা চেৌধুরী। তিনি বলেছেন, সম্রাটের সঙ্গে শারমিনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এ কারণেই সে এসব কথা বলেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে