আবরার হত্যা: আসামি পক্ষের আইনজীবীকে বহিষ্কার করল বিএনপি

মত ও পথ রিপোর্ট

আবরার হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদা খাতুন শিল্পী
আবরার হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদা খাতুন শিল্পী। ছবি : সংগৃহিত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এক আসামি পক্ষের আইনজীবী মোর্শেদা খাতুন শিল্পীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কৃার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবরার হত্যা মামলার আসামি মুজাহিদুলের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে তিনি অংশ নিয়েছেন। মোজাহিদুল রহমান ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ ও বুয়েট ছাত্রলীগ সদস্য।

তবে আবরার হত্যা মামলার আসামিদের একজনের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে অংশ নেয়ার কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে।

রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংগঠন বিরোধী তৎপরতার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পীকে সংগঠনের সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন থেকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পীর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ১৭৯ সদস্যের নতুন কমিটিতে সদস্য হয়েছিলেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন।

এ কমিটি ঘোষণার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা রয়েছে। কিন্তু তার অনেক আগেই বহিষ্কৃত হলেন অ্যাডভোকেট মোর্শেদা খাতুন শিল্পী।

চলতি মাসের ৪ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে আহ্বায়ক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে সদস্য সচিব করে এ ফোরাম গঠিত হয়।

উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি মুজাহিদুলের পক্ষে আইনী লড়াইয়ে অংশ নিয়ে ফেসবুকে তীব্রভাবে সমালোচিত হন মোর্শেদা খাতুন শিল্পী।

এরপর তাকে বহিষ্কারের দাবি জানায় নবগঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বেশ কয়েকজন সদস্য।

প্রসঙ্গত আবরার হত্যা মামলায় আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ নেতাকর্মীর পাঁচদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী।

রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল (বুয়েটের সিই বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক), মুহতাসিম ফুয়াদ (সিই, ১৪তম ব্যাচ ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক) অনিক সরকার, (সিই, ১৫তম ব্যাচ এবং তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক), মেহেদী হাসান রবিন (সিই, ১৫তম ব্যাচ ও সাংগঠনিক সম্পাদক), ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ ও উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক) মোজাহিদুল রহমান (ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বা ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ ও বুয়েট ছাত্রলীগ সদস্য), খোন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর (এমই বা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ ও ছাত্রলীগ কর্মী), মুনতাসির আল জেমি (এমই, ১৭তম ব্যাচ) ও ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না ( এমই, ১৫তম ব্যাচ ও ছাত্রলীগের গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক)। এদের মধ্যে প্রথম ৯ জনের নাম এজাহারে থাকলেও শেষের ইসতিয়াকের নাম এজাহারে নেই।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে