ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, সন্ত্রাসী বা অপরাধীর কোনো সাংগঠনিক পরিচয় নেই। ছাত্রলীগের নীতি-আদর্শের বাইরে কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় সংগঠন নেবে না। বুয়েটের ঘটনায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকিটা আইন-আদালতের কাজ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী আমাদের গণভবনে ডেকে কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন। সে বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
লেখক ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
এ সময় তিনি বলেন, আবরার হত্যার ঘটনায় আমরা ইতোমধ্যে নিন্দা জানিয়েছি। আজ আমরা কালো ব্যাজ ধারণ করেছি। আমরা অত্যন্ত ব্যথিত যে একজন শিক্ষার্থী ভাই মারা গেছেন। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসার কারণে কেন্দ্রীয় দুই নেতার সমন্বয়ে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি।
- আরও পড়ুন >> নির্যাতনের সময় আবরারে মুখ চেপে ধরেছিল ঘাতকেরা
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। আবরার হত্যার খুনিদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ছাত্রলীগ কখনও এ ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাসও করে না। অন্যায়কারীদের কোনও জায়গা ছাত্রলীগে নেই।