গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলায় রিমান্ড শেষে যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীমকে (জি কে শামীম) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ।
অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম শুনানি শেষে মানি লন্ডারিং মামলায় পাঁচদিন ও অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক মামলায় পাঁচদিন। এছাড়া সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
- জাপানে শক্তিশালী তাইফুন হাজিবিসের আঘাতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
- আওয়ামী লীগ ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে নয় : সেতুমন্ত্রী
ওই অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপর এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একই সঙ্গে পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।