দুই মাস হাসপাতালে কাটিয়ে বাসায় ফিরেছি। মনে হয় নবজন্ম পেলাম। বছর দুই আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক মাস হাসপাতালে ছিলাম। এবার ছিলাম বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে। বাঁচার সমস্যা ছিল, তবু বেঁচে উঠেছি। এ জন্যই লিখেছি, হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে মনে হচ্ছে যেন নবজন্ম পেয়েছি।
হাসপাতালে থাকতে টেলিফোন ব্যবহার, সংবাদপত্র পাঠ নিষিদ্ধ না থাকলেও ডাক্তাররা উপদেশ দিয়েছিলেন, লেখাপড়ার কাজটা যেন এখন না করি। তবু বহির্জগতের, বিশেষ করে আমার দেশের খবরাখবর সম্পর্কে একেবারে অনবহিত থাকিনি। রোজই বন্ধুবান্ধবরা আমাকে দেখতে এসেছেন। এসেছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী কে এম খালিদ। একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। এ ছাড়া লন্ডনে নিযুক্ত হাইকমিশনার, ডেপুটি হাইকমিশনার। প্রেস মিনিস্টারসহ আরো অনেক বিশিষ্টজন আমাকে দেখতে এসেছেন। সুতরাং দেশের খবর জানতে আমার অসুবিধা হয়নি।
দেশে ঢাকা শহরের ক্যাসিনোগুলোতে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন যুবলীগে ও ছাত্রলীগে কঠোর শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে জেনে একদিকে মনে আনন্দ পেয়েছি। আবার দুঃখও পেয়েছি। আনন্দ পেয়েছি এ জন্য যে শেখ হাসিনা যতটা কঠোরতার সঙ্গে একাত্তরের ঘাতক-দালাল ও রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পেরেছিলেন, তাঁর নিজের সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধেও ততটা কঠোরতার সঙ্গে তিনি দাঁড়াতে পারবেন কি না সে সম্পর্কে আমার মনে কিছুটা সংশয় ছিল। তিনি সেই সংশয় আমার মন থেকে দূর করেছেন।
শুদ্ধি অভিযানের খবরে মনে প্রচণ্ড দুঃখ অনুভব করেছি এ কারণে যে দেশে এত কোটি কোটি টাকা, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফসল, তা লুট করে নিয়ে একদিন পুঁটি মাছ রাতারাতি রাঘব বোয়ালে পরিণত হয়েছে এবং এই অধিকাংশ রাঘব বোয়াল ধরা পড়ছে ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী দলগুলোর মধ্য থেকেই।
এই শুদ্ধি অভিযানের খবরে আবার মনে শঙ্কাও জেগেছে। লন্ডনের এক হাসপাতালের বেডে শুয়ে মনে পড়েছে, ১৯৭৫ সালের কথা। বঙ্গবন্ধু তাঁর চারপাশের লুটেরা চাটার দলকে উত্খাতের জন্য তাঁর লাল ঘোড়া দাবড়ে দিয়েছিলেন। এই শুদ্ধি অভিযানে তিনি নিজ দলের বেশ কয়েকজন জাঁদরেল এমপিকে দল থেকে বহিষ্কার এবং শাস্তি দিতে দ্বিধা করেননি।
মজার ব্যাপার এই যে বঙ্গবন্ধু তখন যেসব দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসের গডফাদারকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন, তাদের একাংশ নবপ্রতিষ্ঠিত জাসদে নাম লিখিয়ে বিপ্লবী সেজেছে, বাকি অংশ খন্দকার মোশতাকের পেছনে আশ্রয় নিয়েছে। এরা পঁচাত্তরের আগস্ট ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ সমর্থন জুগিয়েছে। এরই পরিণতি ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক জাতীয় ট্র্যাজেডি।
বর্তমানে শুদ্ধি অভিযানের সাফল্যে উল্লাস প্রকাশ না করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের যাঁরা এখনো সৎ, নীতিনিষ্ঠ ও নিবেদিত নেতা ও কর্মী রয়েছেন, তাঁদের উচিত হবে, পঁচাত্তরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হওয়া এবং নিজেদের যে ভুলের জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের রক্ষা করতে পারিনি, সেই ভুলের যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
তাঁদের জেনে রাখা উচিত, দেশে এবং বিদেশে শেখ হাসিনার যেমন বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে, তেমনি ভয়ংকর গোপন এবং প্রকাশ্য শত্রুর সংখ্যাও কম নয়, মিত্রবেশী শত্রুর সংখ্যা আরো বেশি। অর্ধমৃত ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র আমরা চোখে দেখি। কিন্তু অপ্রকাশ্য ও অবিরাম ষড়যন্ত্র অনেক সময় আমাদের চোখে পড়ে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কয়েক দিন আগেও তাঁকে রৌদ্র, বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর জন্য খন্দকার মোশতাক রাস্তায় তাঁর মাথায় ছাতি ধরে হেঁটেছেন, তাহের উদ্দীন ঠাকুর বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনৈতিক পয়গম্বর’ আখ্যা দিয়ে তাঁর স্তাবকতা করেছেন।
শেখ হাসিনা আজ যখন তাঁর রাজনৈতিক সাফল্যের প্রায় চূড়ায় অবস্থান করছেন, তখনই তাঁর জন্য আমার মনে বেশি শঙ্কা জেগেছে। ক্ষমতা ও সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছার পরই দেখা গেছে, কোনো জনপ্রিয় নেতা বা শাসককে তাঁর আপনজনদের দ্বারা হত্যা করানো হয়েছে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী। সম্প্রতি তাঁর লন্ডন সফরকালে বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিকরা আমন্ত্রিত হয়েও তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এটা দুঃখজনক ঘটনা। অনেক সময় দেখা গেছে, নেতাকে নিরাপত্তা দানের নামে তাঁকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দুর্বল করে ফেলার চতুর চক্রান্ত চলে। শেখ হাসিনার ব্যাপারে তা চলছে তা আমি বলছি না। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।
সরকারি নিরাপত্তার সঙ্গে একজন জনপ্রিয় নেতার প্রয়োজন রাজনৈতিক নিরাপত্তা। কিউবার ফিদেল কাস্ত্রোকে ১১৭ বার হত্যার চেষ্টা সফল হয়নি। তাঁর সরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে ছিল কঠোর রাজনৈতিক নিরাপত্তাব্যবস্থা। এই রাজনৈতিক নিরাপত্তাব্যবস্থাটি করেছিল তাঁর রাজনৈতিক দল, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলজেরিয়ায় নিরপেক্ষ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে কাস্ত্রোর এই কঠোর রাজনৈতিক নিরাপত্তা দানের ব্যবস্থা দেখেছিলাম। সে প্রসঙ্গ আজ থাক।
শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক নিরাপত্তা দানের জন্য যে সাংগঠনিক শক্তি, সততা, সতর্কতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, তা বর্তমান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ তথা ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক মহলের নেই। এই মহলে হাইব্রিড নেতাকর্মী দলে দলে ঢুকেছে। সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে, ক্ষমতার অপব্যবহারে এরা দলের অতীতের রাজনৈতিক গৌরবকে একেবারে কলুষিত করেছে। হাসিনা সরকারের বর্তমানের আত্মশুদ্ধি অভিযান যদি মাঝপথে থেমে না যায়; বরং দল ও প্রশাসনের সর্বস্তরে প্রসারিত হয়ে দেশের আর্থসামাজিক রাজনৈতিকব্যবস্থাকে বর্তমানের কলুষ থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত করতে পারে, তাহলে দেশই শুধু বাঁচবে না, আমরা শেখ হাসিনাকেও বাঁচাতে পারব। এই দেশের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আরো কিছুকাল বড় বেশি প্রয়োজন।
লন্ডনের হাসপাতালে শুয়ে একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা শুনে ভেবেছি, দেশের অবস্থা আজ কোথায় গেছে। নইলে এত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, জেহাদি ও অজেহাদি সন্ত্রাস নির্মূল করার পরও ব্যক্তিগত ও সামাজিক অপরাধের (অপরাধ নয়, বর্বরতার) দৈত্য এমনভাবে মাথাচাড়া দেয় কিভাবে? বুয়েটের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যার বর্বরতার খবর শুনে মনে হয়েছে, দেশ আজ কোথায় নেমেছে। আমরা কোথায় আছি।
হত্যাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় হিসেবে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে পরিচিত হলেও বুয়েটের শিক্ষিত, মেধাবী ছাত্র হিসেবেই তাদের পরিচয় অধিক। এরা সর্বপ্রকার মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে পশুর স্তরে কী করে নেমে গেল, সে কথাই দূর ব্রিটেনের হাসপাতালে শুয়ে ভেবেছি। এরা তো এখন একজন নয়, বাংলাদেশে এখন এদের সংখ্যাই শিক্ষাঙ্গন ও সামাজিক অঙ্গনে সর্বাধিক। আবার এর সর্বনাশা দিক হলো, ফেনীর নুসরাত হত্যা, বরগুনার কলেজছাত্র হত্যা থেকে শুরু করে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত প্রতিটি ঘটনার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের শুধু এক শ্রেণির নেতাকর্মী নয়, এমপি এবং তাঁদের অনুগৃহীত থানা পুলিশের পর্যন্ত সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়।
সরকার রাজনৈতিক সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড দমন করেছে। সামাজিক অপরাধ ও ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত হত্যা এখনো চলছে। আবরার হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রকৃত মোটিভ এখনো জানা যায়নি। যদিও অপরাধীদের শনাক্ত করা গেছে। এই বর্বরদের পরিচয় উদ্ঘাটিত হয়েছে। এখন তাদের মোটিভ জানা দরকার। ফেসবুকে ভিন্নমত প্রকাশের জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে মনে হয় না। ভিন্নমত প্রকাশ করলেই দেশের একটি মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করতে হবে, একটি পরিবারকে ধ্বংস করতে হবে—এমন মনোভাবের পশুর সংখ্যা দেশে তাহলে বেড়ে গেছে কি? আর ব্লগার হত্যার দিন তো বহু দিন আগে শেষ হয়েছে। আবরারকে জামায়াতি বলে চিত্রিত করার চেষ্টাও সফল হয়নি।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পেছনে যদি রাজনৈতিক মোটিভ প্রমাণিত না হয়, তাহলে ধরতে হবে এটি একটি জঘন্য সামাজিক অপরাধ, শুধু অপরাধ নয়, বর্বরতা। এই বর্বরতার পেছনের পশুদের অবশ্যই আদালতের বিচারে কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। বাংলাদেশে মানবতা ও নৈতিকতার এই দারুণ অবক্ষয় অবশ্যই সর্বশক্তি প্রয়োগে প্রতিরোধ করতে হবে। নইলে আমাদের সকল সামাজিক অগ্রগতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যর্থ হয়ে যাবে।
আবরার হত্যাকাণ্ডে দেশব্যাপী যে বিশাল প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল, তাকে মূলধন করে এটিকে একটি রাজনৈতিক ইস্যু করার চেষ্টা চালাচ্ছে অর্ধমৃত ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি ও জামায়াত। তা সফল হবে না। দেশের সচেতন মানুষ জানে, এই বর্বরতার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের চেয়েও সামাজিক অবক্ষয় বেশি কাজ করছে। এটা রোধ করার জন্য সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধের সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর কমন পারপাস-ভিত্তিক সম্মিলিত আন্দোলন দরকার।
ব্রিটেনের মতো দেশে টিনএজারদের মধ্যে নাইফ ক্রাইম (ছুরি মেরে হত্যার অপরাধ) এত বেড়েছে যে সরকার স্বীকার করেছে, এই বর্বরতা ব্রিটেনে মহামারির মতো দেখা দিয়েছে। পুলিশ তা দমন করতে পারছে না। ব্রিটেনের বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক দলগুলো এ জন্য সরকারকে দোষারোপ করছে না বা এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করার চেষ্টা করছে না। তারা বলছে, এটা সমাজজীবনের বিপর্যয়। এই বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষার জন্য ব্রিটেনের সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত কার্যক্রমের ভিত্তিতে অভিযান দরকার। তার সঙ্গে পুলিশি অ্যাকশন তো থাকবেই। এ জন্য শুধু ব্রিটেনেই নয়, সারা ইউরোপে movement for moral re-armament বা নৈতিক শক্তির পুনর্জাগরণ নামের আন্দোলনটিকে ব্যাপকভাবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে সর্বনাশা নৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তা এখন আমাদের একার সমস্যা নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। বিশ্বব্যাপী ড্রাগস সিন্ডিকেট গড়ে ওঠা এবং তাদের কার্যকলাপও এ জন্য অনেকাংশে দায়ী। মাদকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ায় প্রকৃত অভিযান চালানো হলে এবং ক্ষমতাসীনদের আশ্রিত মাদকসম্রাটদের সিন্ডিকেটগুলো উত্খাত করা সম্ভব হলে দেখা যাবে দেশে নারী নির্যাতন ও সামাজিক অপরাধগুলো বারো আনা কমে গেছে। ছাত্রদের মধ্যে লাইসেন্স-পারমিটবাজি বন্ধ করা গেলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদার নামে তোলা আদায়, ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করা গেলে শিক্ষাঙ্গনেও অপরাধ কমে যাবে।
দেশ বর্তমানে যে অবস্থায় পৌঁছেছে, তা থেকে তাকে মুক্ত করা না গেলে আরো কত আবরারের মতো মেধাবী তরুণের জীবন ভবিষ্যতে বর্বর পশুদের দ্বারা ধ্বংস হবে তা এখন বলা মুশকিল, শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। আরো সাহসী ও কঠোর হয়ে এর সম্প্রসারণ প্রয়োজন। সমাজের সব পর্যায়ে এর বিস্তার প্রয়োজন। আর কোনো আবরারকে যেন নিম্নমধ্যবিত্ত একটি পরিবারের বুক খালি করে বর্বরদের জীঘাংসার শিকার হতে না হয়, সে জন্য পুলিশ প্রশানসকেও কঠোরতম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু পুলিশকে নয়, শুদ্ধি অভিযানে আওয়ামী লীগকেও মাঠে নামানো দরকার। তারা ঘরে বসে থাকলে শুধু পুলিশ শুদ্ধি অভিযান সফল করতে পারবে না। কারণ সরষের মধ্যেও ভূত আছে।
লন্ডন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯