বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের ৫ বছরের কারাদণ্ড

মত ও পথ প্রতিবেদক

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ
ফাইল ছবি

শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে, তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ সোমবার দুপুরে এ রায় দেন।

হারুন অর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে জোরালো বক্তব্য রেখে আসছিলেন। গত ১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার মুক্তির দাবি জানান। পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন এমপি হারুন। খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়ে সরকারকে নমনীয় হতে ওবায়দুল কাদেরকে অনুরোধ করেন তিনি। পরে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আজ তাকে দুদকের মামলায় কারাগারে পাঠানো হলো।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় শুল্ক মুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।

অপর দুই আসামি হলেন- ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান ও গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেক। তাদেরও দণ্ড দেয়া হয়েছে।

দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, দুর্নীতির এই মামলায় বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানকে দুই বছর এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। হারুন অর রশিদ ছাড়া বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম জানান, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারুন অর রশিদকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

এমপি থাকাবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের মামলায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয় ২০০৭ সালে। দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং কাস্টমস অ্যাক্ট এর ১৫৬ ধারায় হারুন অর রশিদ, ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান এবং গাড়ি ব্যবসায়ী সাদেককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে