বহুল আলোচিত ফেনীর সোনাগাজি মাদ্রাসারছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের নথি আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টে পাঠানো হচ্ছে। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) হাফেজ আহমেদ সোমবার এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাফেজ আহমেদ বলেন, মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) আকারে হাইকোর্টে পাঠাতে হয়। নথি হাইকোর্টে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আদালত যখন মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন, তখন হাইকোর্ট বিভাগের কাছে কার্যক্রম পেশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ অনুমোদন না করা পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা হবে না। তাই আজ মঙ্গলবার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
এরআগে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার রায় ২৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ঘোষণা করেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ।
রায়ে প্রধান আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬জনকে দঁড়িতে ঝুলিয়ে ফাঁসির আদেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া রায়ে প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানার অর্থ আইন মোতাবেক আদায় করে ভিকটিমের পিতা-মাতাকে দেয়ার জন্য ফেনীর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
অধ্যক্ষের যৌননিপীড়নের প্রতিবাদ করায় গত ৬ এপ্রিল নুসরাতের শরীরে আগুন দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হত্যার সাত মাসের মাথায় এ রায় দেয়া হলো। নারীর মর্যাদা রক্ষায় নুসরাতের এই আত্মত্যাগ তাকে অমরত্ব দিয়েছে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। ১৭৩ পৃষ্ঠার এ রায় প্রদানের সময় চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নুসরাতের পরিবার ও আইনজীবীরা।