ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে দেয়া যে বক্তব্যের জন্য ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সমালোচনায় পড়েছেন সেই ইস্যুতে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ নেই।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেসের প্রস্তুতি বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে ফজলে হোসেন একথা বলেন।
গত ১৯ অক্টোবর বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির এক সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এর বড় সাক্ষী আমি নিজেই।’
তার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রী হলে কি মেনন এমন কথা বলতে পারতেন?’
এরপর প্রথমে বিবৃতি দিয়ে তার বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে গণমাধ্যমে আসেনি বলে দাবি করেছিলেন মেনন। পরে ১৪ দলের কাছে বরিশালে দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন তিনি।
এ বিষয়ে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের ইস্যুতে তাকে ব্যক্তিগতভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ নেই। তার বক্তব্য অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। ১৪ দলের পরবর্তী বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন।’
‘মেনন তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। দীর্ঘদিনের এক রাজনীতিবিদের একটা শব্দের অতিরিক্ত ব্যবহারে, তাকে বাতিল করা রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না।’
ওয়ার্কাস পার্টির আসন্ন কংগ্রেস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো দলটির ছয় নেতার বিষয়ে বাদশা বলেন, ‘পার্টি কারো হাতে জিম্মি হবে না। ৬ জন ব্যক্তি দলকে ৬০-এর দশকের বাম রাজনীতিতে নিয়ে যেতে চাইছে, যেটা এখনের সঙ্গে যায় না। তাদের বিরোধিতায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’
- আরও পড়ুন >> বিএনপি নেতা গিকা চৌধুরীর তিন বছর কারাদণ্ড
গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানো ওই ছয় নেতা হলেন পলিটব্যুরো সদস্য নুরুল হাসান ও ইকবাল কবির জাহিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাকির হোসেন হবি, মোফাজ্জেল হোসেন মঞ্জু, অনিল বিশ্বাস ও তুষার কান্তি দাস।