ক্রীড়া ডেস্ক
এক রাজ্য, এক ভোট নিয়ম বাতিল। কুলিং অফ পিরিয়ড শিথিল৷ তিন বছরের পরিবর্তে থাকা যাবে টানা ছ’ বছর৷ ফলে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ডে যাওয়ার খোলা রইল৷ কিন্তু কুলিং অফ নিয়ম শিথিল হলেও ছুটি হয়ে গেল বোর্ডের অস্থায়ী সচিব অমিতাভ চৌধূরি এবং কোষাধ্যক্ষ অনিরূদ্ধ চৌধূরির৷ দু’ জনেই নিজের রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা এবং বিসিসিআই মিলিয়ে টানা ছ’ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন৷
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায় একরাশ স্বস্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ও অনুমোদিত রাজ্য সংস্থার কর্তাদের। লোধা কমিটির যে তিনটি প্রস্তাবে মূলত আপত্তি ছিল বোর্ডকর্তাদের। সেগুলি কার্যত মেনে নিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ প্রথমটি হল এক রাজ্য, এক ভোট। এতে মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে থাকা মোট ছ’টি ক্রিকেট সংস্থার ভোটাধিকার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ এই সংস্থাগুলোর প্রতিটিকেই দিয়েছে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা পুর্নবহাল করেছে। এছাড়াও পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা পেয়েছে সার্ভিসেস, রেলওয়েজ ও সম্মিলিত বিশ্ববিদ্যালয়। ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা রয়েছে তাদের। তবে মুম্বইয়ের ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়া ও কলকাতার ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট৷
কুলিং অফ নিয়ে বোর্ডের আবেদনে সাড়া দিয়ে তা কিছুটা শিথিল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এএম খানবিলকর ও ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ তিন বছরের পরিবর্তে ছ’ বছরের কুলিং অফ দিয়েছে বোর্ডকর্তাদের৷ অর্থাৎ বোর্ড বা রাজ্য সংস্থা মিলিয়ে এক বা ভিন্ন পদে ছ’ বছর থাকতে পারা যাবে৷ তারপর তিন বছর কুলিং অফে যেতে হবে। তবে বোর্ডে বা রাজ্য সংস্থায় মোট নয় বছর কাটিয়ে ফেললে আর কোনও পদে থাকতে পারবেন না৷ পাশাপাশি ৭০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে লোধা কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ পদাধিকারীদের বয়স ৭০ হলে তাঁকে সরে দাঁড়াতে হবে৷
সংবিধানের ড্রাফট মেনে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য কড়া বার্তাও দিয়েছে। নতুন সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করার জন্য বিসিসিআই-কে চার সপ্তাহ এবং রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে দু’ মাস সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোনও সংস্থা এ ক্ষেত্রে অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিওএ প্রধান বিনোদ রাই৷