স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আবার যারা দস্যুতা করার চেষ্টা করবে, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। নেপথ্যে সে সকল গডফাদার রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় নয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষণার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১৮ সালে এই দিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবন দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে যারা বিপথ থেকে ফিরে এসেছে, তাদের প্রতি আমাদের সুদৃষ্টি রয়েছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন, তাদের সম্মাননা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দস্যুমুক্তকরণে র্যাবের ভূমিকা ও দস্যুদের আত্মসমর্পণের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘অপারেশন সুন্দরবন’র ডিজিটাল লোগো ও মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
এ সময় চলচ্চিত্রের পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যুদের উপহার সামগ্রী দেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালিকা অনুযায়ী আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের মামলা থেকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দস্যুদের আইন অনুযায়ী বিচার হবে। ওইসব মামলা দস্যুদের নিজেদের পরিচালনা করতে হবে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের আয়োজনে বাগেরহাটের শেখ হেলালউদ্দিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু, সদস্য কুজেন্দ্র কুমার ত্রিপুরা এমপি, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজির আহমেদ বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আত্মসমর্পণকৃত বনদস্যুদের দেখে রাখার অনুরোধ করেন।