রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিদ্যমান নীতিমালায় আর কেউ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
আজ বৃহস্পতিবার ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে কয়েকজন শিক্ষক শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে মানববন্ধন করে এ ঘোষণা দেন।
মানববন্ধনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমানে রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় মেধার কোনো বালাই নেই। উপাচার্য তাঁর মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে আবেদন যোগ্যতা শিথিল করেছেন। স্নাতক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় যাঁরা প্রথম দিকে ছিলেন তাঁদের পরিবর্তে ৬৭তম হয়েও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন উপাচার্যের জামাতা। শিক্ষকদের মধ্যে যাঁরা এসব অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাঁদেরকে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। এতে আমরা পিছপা হব না, বরং আন্দোলন আরো কঠোর হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য একজনকে রাখা হয়েছে। তাঁর মাধ্যমে উপাচার্য তাঁর উদ্দেশ্য হাসিল করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী যোগ্য লোকের অভাব যে অযোগ্যকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখতে হবে? রেজিস্ট্রারকেও পদত্যাগ করতে হবে।’
মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে র্যালি করেন শিক্ষকরা। এতে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যঅপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা প্রমুখ।
এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান তিনি। পরে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁর সঙ্গে যোগ দেন।
শিক্ষার্থীরা ‘দুর্নীতি ও শিক্ষা একসঙ্গে চলতে পারে না’, জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কেন- এমন বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে তাতে আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। শিক্ষক হিসেবে আজ আমাদের কোনো মর্যাদা নেই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই। এ সময় জাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান তিনি।