জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে ‘আহাম্মক ও খলনায়ক’ বলে মন্তব্য করেছে উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে আবের সমালোচনার জবাবে এমন অপমানজনক মন্তব্য করল দেশটি।
জাপান সরকারের বরাত দিয়ে কিয়োদো বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, গত ৩ অক্টোবর ‘সুপার-লার্জ মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার’ পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। উৎক্ষেপণ পরীক্ষার সময় দেশটির নেতা কিম জং উন উপস্থিত ছিলেন।
তবে সম্প্রতি ওই পরীক্ষা নিয়ে এশিয়ান সম্মেলনে সমালোচনা করেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
একই সঙ্গে আবে আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার জাপানি নাগরিক অপহরণের বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে তিনি নিঃশর্তে দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান।
উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ক উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত সং ইল হো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আবে একজন আহাম্মক এবং খলনায়ক। তিনি ডিপিআরকে’র (উত্তর কোরিয়া) সুপার-লার্জ মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার পরীক্ষা নিয়ে এমন হৈচৈ শুরু করেছেন যেন মনে হচ্ছে জাপানের ওপর এটম বোমা পড়েছে।’
‘ডিপিআরকে’র প্রতিরক্ষার ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ নিয়ে আবে যে আক্রমণাত্মক কথা বলেছেন, এরপর তিনি যেন আর পিয়ংইয়ংয়ের মাটিতে পা রাখার স্বপ্নও কখনো না দেখেন- সে পরামর্শই তাকে দিচ্ছি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উত্তর কোরিয়ার এই ধরনের মন্তব্যের পর অপহৃত জাপানিদের নিয়ে সমাধানের বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে গেল। কারণ আবে উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত সব জাপানিকে দেশে ফেরত আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০০২ সালে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে তাদের গোয়েন্দারা ষাট ও আশির দশকে ১৩ জন জাপানি নাগরিককে অপহরণ করেছিল। কিন্তু জাপান দাবি করেছিল তাদের ১৭ নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে। পরে ৫ জনকে জাপানে ফেরত পাঠিয়েছিল উত্তর কোরিয়া এবং বাকি ৮ জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন। এছাড়া জাপান যে চারজনের দাবি করেছে তারা কখনো উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেনি।