বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলীয় ৭টি জেলা। ইতিমধ্যে এসব জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী। তবে এতে ফসল ছাড়া বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার বিকালে সচিবালয়ে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় সরকারের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছরগুলোর মতো এবারো সরকার সফলভাবে ঝড়ের মোকাবেলা করবে।
এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ২২টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাসমূহ হলো, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও ভোলা। পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। তবে এতে ফসল ছাড়া বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা নেই।
ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে দেশের ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১১ জেলায় সতর্কতা সংকেত অনুযায়ী সিগনাল পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব মোকাবেলায় ইতিমধ্যে ১১ জেলায় শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
‘বুলবুলে’র কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌ-যানকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসতে পারে।