সাতবছর পর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি পেল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ। নতুন কমিটির সভাপতি হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মন্টু। তিনি আগের কমিটিতে কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন কে এম আজম খশরু। তিনি আগের কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
আজ শনিবার বিকালে সংগঠনটির ১৩তম সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন এই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। সভাপতি পদে সাতজন প্রার্থী ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন ১২ জন।
তাদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নতুন সভাপতি মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক খশরুর নাম ঘোষণা করেন। এর আগে বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও শুকুর মাহমুদ ও সিরাজুল ইসলামের কমিটি সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে নেতৃত্বে ছিলেন। যা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।
আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের মত শ্রমিক লীগও জাতীয় সম্মেলন করে নতুন করে নেতৃত্ব নির্বাচন করলে। বর্তমান শ্রম আইন অনুযায়ী নতুন কমিটির মেয়াদ তিন বছর।
সবশেষ ২০১২ সালের সবশেষ সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক নেতা শুকুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় জনতা ব্যাংক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা সিরাজুল ইসলাম।
নতুন সভাপতি মন্টু শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। তিনি শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পাবনা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেড ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ফজলুল হক মন্টু ১৯৬৯-৭০ সালে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি পাবনা জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।