জুসে কাপড়ের রঙ থাকায় তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ১২ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ১২ লাখ

স্কুলপড়ুয়া ছোট্ট শিশুরা মান যাচাই-বাছাই ছাড়াই খুব আনন্দ করে খেয়ে থাকে এক ধরনের ললি জুস। প্লাস্টিকের ললিতে ভরা জুসের রঙ বাহির থেকে দেখা যায়। যে কারণে শিশুদের আকর্ষণ করে বেশি। তবে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফুড কালারের বদলে টেক্সটাইলের রঙ দিয়ে তৈরি করে এসব জুস বাজারজাত করছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর উত্তরখানে এমন একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব-১ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুধু তাই নয়, শাহী ফুড প্রডাক্টস নামের এই প্রতিষ্ঠানের নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন।

এ ছাড়াও চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গ্লাবস ছাড়াই কর্মীরা জুস তৈরি করে। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযমের নেতেৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

একইসঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা মানহীন খাবার ধ্বংস করা হয় বলেও জানান র‌্যাব-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযম বলেন, ‘আমরা তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এতে মোট ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যাতে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ, অনুমোদন নেয়াসহ সার্বিক উন্নতি করে সেজন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমাদের নজর থাকবে। দেখব তারা সংশোধন হয় কি না।’

আরও পড়ুন >> রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় মিয়ানমারের পক্ষে লড়বেন সু চি

অভিযান পরিচালনার সময় বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার জেবুন্নেসা ও উত্তর সিটি করপোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আযম জানান, অভিযানে ক্রাপ ফুডে চার মাস আগে নানা অনিয়মের কারণে জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো রকমের সংশোধন হয়নি। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেখানে খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়। এসব কারণে তাদেরও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়াও ফাতেমা বেকারিতে অভিযান চালানো হয়। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই তারা বিক্রি করছিল বেকারিপণ্য। কোনো ধরনের মানসম্মত পরিবেশও ছিল না সেখানে। তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুমোদন নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে