রাজাকারের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকার প্রয়োজন হলো কেন? রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য এ তালিকা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সরকারের লোকেরা বলে এটা নাকি পাকিস্তানের তালিকা। পাকিস্তানের তালিকা হলে এটা বাংলাদেশের তালিকা হলো না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের ধারকবাহক কিন্তু এরাই দেশের সব গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এরা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছিল। ’৭৫-এ আওয়ামী লীগের সময় দুর্ভিক্ষ হয়েছিল এবং মানুষ না খেয়ে মারা গিয়েছিল সেই আওয়ামী লীগ এখন জোর করে ক্ষমতায় চেপে বসেছে। আমাদের লাখ লাখ দেশপ্রেমিক মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এই দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে প্রকৃত রাজাকারদের বাদ দিয়ে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজাকারদের তালিকা তৈরি করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আজকে এই র্যালির নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার, যিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী। যিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। কিন্তু আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে দেশনেত্রীকে ছাড়াই এই র্যালিতে অংশ নিতে হচ্ছে।
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অবশ্যই আমাদের গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। আপনারা সব বিভেদ ভুলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য একটি ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলুন এবং এ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করুন।