মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ওই সাক্ষীরা হলেন, জীবন আহমেদ ও মো. তারিফুর রহমান।
সাক্ষীদের মধ্যে জীবন একজন ফটো সাংবাদিক আর তারিফুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার দোকানদার।
আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এই সাক্ষীরা সাক্ষ্য প্রদানের পর বিচারক মো. মজিবুর রহমান আগামী ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায়সহ ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও মো. আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে সাহাবকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অপর দুই আসামি মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। মামলায় গত ১ অগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল।
চলতি বছর গত ১৩ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (সংশোধনী ২০১৩) ৬ (১)(ক)(অ)/৬(২)/৮/৯/১০/১২/১৩ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
চার্জশিটে বলা হয়, ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে অপপ্রচার ও মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় মেজর জিয়ার নির্দেশ ও পরিকল্পনা এবং শারীরিক প্রশিক্ষক সেলিমের উপস্থিতিতে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার দুদিন আগে থেকে জঙ্গি সায়মন, সোহেল, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়ের গতিবিধি অনুসরণ করেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরাফাত, খলিল ওরফে আলী, অন্তু ও অনিক হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় মেজর জিয়া, শরীরচর্চা প্রশিক্ষক সেলিমসহ ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন। যাতে তাদের সহযোগীদের কেউ আটক করতে না পারে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা ঘটনাস্থলে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি ফেলে পালিয়ে যান।
- নেত্রীর সিদ্ধান্তে আমি খুশি, আলহামদুলিল্লাহ : সাঈদ খোকন
- নতুন আইনে বছরে একাধিকবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম পরিবর্তনের সুযোগ
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে দুর্বৃত্তরা অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ ওরফে বন্যাকে গুরুতর আহত করে।
উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার প্রকৌশলী এবং বন্যা চিকিৎসক ছিলেন। পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।