ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছে ১৭৬ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের বিমানটিকে বিমানবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ইরাকি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইরানের রাজধানী তেহরানের ঠিক বাইরে ইউক্রেনের যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি একটি বিমানবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল।
এই বিমানটিকে রাশিয়া নির্মিত টর-এম১ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা আঘাত করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পেন্টাগন ও মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, পেন্টাগনের মূল্যায়ন হলো ঘটনাটি দুর্ঘটনাজনক ছিল।
সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ইরানের বিপ্লবী গার্ড কুদস ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল সক্রিয় ছিল।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। জাতীয় সুরক্ষা কাউন্সিল বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায় হয়নি।
এর আগে বুধবার সকালে তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দরের কাছে ১৭৬ যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান। দুর্ঘটনায় বিমানের কোনো আরোহীই বেঁচে নেই। ওই দুর্ঘটনা তদন্ত করছেন ইরানি কর্মকর্তারা।
তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ওই যাত্রীবাহী বিমানটি তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই এতে আগুন ধরে গিয়েছিল।
বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের মাত্র তিন মিনিটের মাথায় ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা অধিকাংশ আরোহীই ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক।
- ইরানে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২০
- ‘আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত’
- অকাল মৃত্যু সবাইকে কষ্ট দেয়: প্রধানমন্ত্রী
নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।