বার্ট্রান্ড রাসেলের দু-একটা বই অথবা দু-একটা লেখা পড়েননি সচেতন পাঠকের এরকম নেই বললেই চলে। দর্শনের মতো এত গভীর বিষয় নিয়ে কাজ করলেও লেখক হিসেবে রাসেলের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। তিনি অনেক বই লিখেছেন, মানবজাতির জন্য যা প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু রাসেলের সফলতা হচ্ছে অসম্ভব গভীর বিষয়ও তিনি সাহিত্য করে তুলতে পেরেছেন। তিনি গল্প-উপন্যাস না লিখলেও তার লেখাগুলো ভাষাগত দিক থেকে যে কোনো জনপ্রিয় লেখকের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। তাকে নোবেল প্রাইজও দেয়া হয়েছিল সাহিত্যে। রাসেল তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ছিলেন না। বুদ্ধিকে জীবিকা করে তিনি কখনও জীবন ধারণ করেননি। নিতান্তই মানবজাতির পক্ষে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই তার লেখনী। সে ক্ষেত্রে রাসেলকে সঠিক অর্থেই ‘ইন্টেলেকচুয়াল’ বা বিদ্বজ্জন বলে অভিহিত করা যায়। তিনি যা সত্য মনে করেছেন তার পক্ষে জীবনবাজি রাখতেও কসুর করেননি। হয়তো তিনি মাকর্সীয় পণ্ডিত নন, তিনি নিতান্তই রাসেলীয়। সেই হিসেবেই তাকে বিচার করতে হবে। এ কথা এজন্য বলা যে, অনেক মার্কসীয় পণ্ডিত রাসেলকে দার্শনিক মানতে নারাজ। সত্যিকার অর্থে তিনিও অন্যান্য বিদ্বজ্জনের মতো অনেক প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে সত্য উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছেন। বুর্জোয়া পরিবারে জন্ম নিয়েও গণমানুষের অসহায়ত্ব তাকে পীড়িত করেছে নিরন্তর। মানুষের ঘৃণা, ঈর্ষা, দাম্ভিকতা, আর উন্মত্ত লোভের কাছে বিলিয়মান পৃথিবী দেখে তার মতো সংকিত ও চঞ্চল হতে খুব বেশি কাউকে দেখা যায় না।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধ বিরোধিতার ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ হওয়ার জন্য ছয় মাস কারাদণ্ড হয় রাসেলের। কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপকের পদ হারান। জরিমানা দিতে অস্বীকার করায় তার ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার বিক্রি করে জরিমানার অর্থ আদায় করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এ কারাবাসের সময়ও তিনি সতত সৃজনশীল। ‘ইন্ট্রোডাকশন টু ম্যাথমেটিক্যাল ফিলসফি’ লেখেন কারাগারে বসেই।
১৯৫৪ সালে আমেরিকা হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষমূলক বিস্ফোরণ ঘটায় বিকিনি দ্বীপে। প্রায় একই সময়ে হাইড্রোজেন বোমার মালিক হয়ে ওঠে সোভিয়েত ইউনিয়নও। তখন থেকেই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে অক্লান্ত যোদ্ধার ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন রাসেল। এ অস্ত্রবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেয়ার কারণে আবারও কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন আজীবন যুদ্ধবিরোধী মানুষটি। সঙ্গে সঙ্গে এক ভয়াবহ হতাশায় তাড়িত হন তিনি যার ফল একটি বিষণ্ন বই ‘হ্যাজ ম্যান আ ফিউচার?’ বা মানুষের কি কোনো ভবিষ্যৎ আছে?
দুর্বল প্রজাতি হিসেবে মানুষের এই বিকাশ, সমৃদ্ধি, স্বার্থপরতা ও ক্ষমতালিপ্সা বিস্ময়কর। জগতে খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষই নিয়ন্ত্রণ করে মানবজাতির বিশাল বহরকে। দেখতে প্রায় একই রকম হলেও অঞ্চলভেদে তাদের বর্ণ, ভাষা ও চেহারার প্রকার খানিকটা ভিন্ন। বিকাশের ক্রমাগতিতে খাদ্য বা নিরাপত্তার শর্তে বিভিন্ন গোত্রভিত্তিক সমাজব্যবস্থার ভেতর দিয়ে রাষ্ট্র পর্যন্ত তাদের যাত্রা। রাষ্ট্রও পরোক্ষভাবে গোত্রের মতোই আচরণ করে। ফলে গোত্রভিত্তিক সমাজের যে দ্বন্দ্ব তা রাষ্ট্র পর্যন্তু গড়ায়। কিছু মানুষ জগতে সবসময় সাম্য বা ন্যায়ের কথা বললেও শেষ পর্যন্ত মানুষের ওপর মানুষের পাশবিক দখলদারিত্ব ও কর্তৃত্বই জয়ী হয়েছে। আরও বৃহৎ পরিসরে গড়ে ওঠেছে দখলের প্রক্রিয়া। ফলে জাতীয়তাভিত্তিক অহঙ্কার তাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে অন্য জাতিকে পদদলিত করার, হেয় করার, শোষণ করার সর্বোপরি সমূলে বিনাশ করার বাসনা। ফ্রয়েডের ভাষায় এটাকে বলা যায় টোটেম অসুখ।
রাসেল বলেন, নিজের চারপাশে অমানবীয় বিপদের আবহ থেকে উঠে এসেছিল মানুষ। উঠে আসার সময় তার সঙ্গী হয়েছিল সেসব সহজাত প্রবৃত্তি আর আবেগ যেগুলোর সাহায্যে নিজের ফেলে আসা জীবনে টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছিল সে। পেছনে ফেলে আসা সেই অনিশ্চিত জীবনে টিকে থাকার জন্য তার দরকার ছিল প্রচণ্ড কঠোরতা আর তীব্র জেদ, দরকার ছিল নিয়ত সতর্কতা, অতন্দ্র হুশিয়ারি এবং যে কোনো বিপদের মোকাবেলা করার মতো সাহস। পুুরনো সেই বিপদগুলো পার হয়ে আসার পর নিজের ওইসব অভ্যাস আর আবেগগুলো নিয়ে কী করার ছিল তার? ভেবেচিন্তে একটা সমাধান খুঁজে পেয়েছিল সে, তবে দুর্ভাগ্যবশত সেই সমাধানটা খুব সুখকর ছিল না। যে বৈরিতা আর সন্দেহকে এবার সে পরিচালিত করল অন্য মানুষদের বিরুদ্ধে।
না, সবার বিরুদ্ধে নয়, কারণ যেসব দক্ষতার সাহায্যে সে টিকে থাকতে পেরেছিল তার অনেকগুলোর জন্যই প্রয়োজন হতো সামাজিক সহযোগিতা। সেই সহযোগিতার বৃত্তের বাইরে থাকত যারা, তাদের বিরুদ্ধেই নিজের সন্দেহ আর বৈরিতা পরিচালিত করল মানুষ। এভাবে গোষ্ঠীগত ঐক্য ও সংগঠিত যুদ্ধের সাহায্যে বহু শতাব্দী ধরে সামাজিক সহযোগিতার প্রয়োজন মিটিয়েছিল সে, যে সহযোগিতার সঙ্গে মিশে ছিল অতীতের সংগ্রামসঞ্জাত সহজাত হিংস্রতা আর সন্দেহপ্রবণতা।’
আমরা দেখতে পাই সবসময় একজাতি অন্য জাতিকে নিচের দিকে ঠেলে দিতে চায়, ঘৃণা করে অন্যের সংস্কৃতিকে, সন্দের চোখে দেখে, নিঃস্ব-রিক্ত করে হত্যা করতে চায়। সংক্ষেপে এ মানব বিকাশের ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যা একেবারে স্পষ্ট হয়ে যায় এবং হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বিস্ফোরণের মধ্যে দিয়ে যে হিংস্রতার রূপ মানবজাতি প্রত্যক্ষ করে তাতে জাতি হিসেবে মানবজাতির টিকে থাকাটাই প্রশ্ন ও হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়ায়। সহসা পৃথিবীতে দুটি শক্তির প্রতিযোগিতা দেখা দেয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। জাপানে পারমাণবিক বোমা ফাটানোর কিছুদিনের মধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়নও পারমাণবিক অস্ত্রসমৃদ্ধ হয়। এতে কিছুটা ভারসাম্য এলেও উভয়েই আবার আরও অধিক ধ্বংসাত্মক কোনে মারণাস্ত্রের সন্ধানে ব্যাপৃত হয়। এর ফলে অতি অল্প সময়ে হাইড্রোজেন বোমার অধিকারী হয় দেশ দুটি। এর ভেতর অন্যান্য দেশেও শুরু হয়ে যায় নীরব অস্ত্র প্রতিযোগিতা। বিকিনি দ্বীপে আমেরিকার হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণের পর বোঝা যায় হাইড্রোজেন বোমার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে। পারমাণবিক বোমায় দুটি শহর বিলীন হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু হাইড্রোজেন বোমায় বিলীন হবে একেকটি সমাজ। হাইড্রোজেন বোমা বায়ুর গতিপথ ধরে ছেড়ে দিতে পারলে ধ্বংশ হয়ে যাবে পৃথিবীর একাংশ। রাসেল বলেন, হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণজনিত ক্ষয়ক্ষতি শুধু বিস্ফোরণের অঞ্চলটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। তেজস্ক্রিয় কণাগুলো শূন্যে বহু দূর পর্যন্ত উৎক্ষিপ্ত হয়, তারপর সারা পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, আস্তে আস্তে নেমে আসে নিচে, মানুষের শরীরে সৃষ্টি করে বিভিন্ন ভয়াবহ ব্যাধি, বিষিয়ে দেয় জল, গাছপালা আর পশুপাখিদের। তেজস্ক্রিয় কণাগুলোর এ নেমে আসাকে বলা হয় ‘ফল আউট’। এই ফল আউটে যে তেজস্ক্রিয় কণারা থাকে তার অধিকাংশই প্রকৃতিতে সাধারণভাবে থাকে না কিংবা খুব কমই থাকে। ফল আউট কতটা প্রাণঘাতী হতে পারে তা প্রথম জানা যায় একটা দুর্ঘটনার ফলে। আমেরিকান কর্তৃপক্ষ যতটা এলাকাকে বিপদসীমার অন্তর্ভুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন, তার থেকে অনেক দূর দিয়ে যাচ্ছিল একটা জাপানি মাছধরা জাহাজ, যার নাম ছিল ‘লাকি ড্রাগন’। কিন্তু বায়ুপ্রবাহের আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে গোটা জাহাজটা ভরে যায় তেজস্ক্রিয় ধুলায়। জাহাজের প্রতিটি আরোহী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কিছুদিন পর তাদের মধ্যে একজন মারাও যায়। হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণের ফলে মৃত্যুর প্রত্যাশিত সংখ্যাকে বহু গুণ বাড়িয়ে দেবে এ ‘ফল আউট।’
যাইহোক সোভিয়েত ইউনিয়নও হাইড্রোজেন বোমায় সমৃদ্ধ হয়ে উঠলে স্বভাবতই এমন একটা ‘সর্বধ্বংসী যন্ত্র’ আবিষ্কারের দিকে পেশাদার বিজ্ঞানী সমাজ আগাবে যা অ্যাটম বা হাইড্রোজেন বোমার চাইতেই শক্তিমান। রাসেল বলেন, এ ধরনের অস্ত্রের মধ্যে এখনও পর্যন্তু প্রস্তাবিত সব থেকে সস্তা ধরনটি হচ্ছে কোবাল্ট বোমা। এ বোমা ঠিক এখনকার হাইড্রোজেন বোমার মতোই, পার্থক্য শুধু এক জায়গায়। এ বোমার বহিরাবরণে ইউরেনিয়ামের বদলে কোবাল্ট ব্যবহার করা হয়। এ বোমা বিস্ফোরত হলে কোবাল্টের একটি তেজস্ক্রিয় রূপ চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে এবং তা ক্ষয়প্রাপ্ত হবে অত্যন্ত ধীরে ধীরে। বেশ কিছু কোবাল্ট বোমার বিস্ফোরণ ঘটলে কয়েক বছরের মধ্যে সারা পৃথিবীতে মানুষের আর কোনো অস্তিত্বই থাকবে না।‘দ্য হিউম্যানিস্ট’ পত্রিকার মার্চ-এপ্রিল ১৯৬১ সংখ্যায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে লিনাস পাউলিং বলেছেন, ছয় মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর অস্ত্র নির্মাণ খাতে যা ব্যয় হয় তার কুড়ি ভাগের এক ভাগ খরচ করলে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মৃত্যু সুনিশ্চিত করার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণ কোবাল্ট বোমা বানিয়ে ফেলা যাবে। আত্মরক্ষার যতরকম ব্যবস্থাই করা হোক না কেন, কোনো মানুষের পক্ষেই জীবিত থাকা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’
এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে পারমাণবিক বোমাবাহী সাবমেরিন। শুধু আকাশসীমা নয় সমুদ্রপৃষ্ঠেও ঘুরে বেড়াচ্ছে পারমাণবিক ভয়। রাসেল এই বইটি লেখেন ১৯৬১ সালে তখনও ঠাণ্ডাযুদ্ধ চলমান। ইতিমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়েছে; কিন্তু পৃথিবীর আরও অধিক সংখ্যক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। এখন প্রায় ছয়টি দেশ পারমাণবিক অস্ত্র সমৃদ্ধ বলে স্বীকৃত। অস্বীকৃত ততধিক দেশ গবেষণায় মত্ত। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ নিয়ে চলছে অবরোধ ও তর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়ায় হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে অজস্র মানুষ। ধ্বংস করেছে অজস্র স্থাপনা। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ক্রমেই কোণঠাসা করছে আরব দেশগুলোকে। এটি খুব স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য যে, যেসব দেশে আমেরিকা হামলা চালিয়ে লাখ লাখ নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। তারা প্রথমে ওঠে দাঁড়াবে এবং পরবর্তী সময়ে প্রতিশোধের পাঁয়তারা শুরু করবে। এ পারমাণবিক প্রচেষ্টা ইচ্ছে করলেই ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
এর থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কেও রাসেল ভেবেছেন। তিনি এক বিশ্ব সরকারের প্রস্তাব দেন। তিনি তখনই বলেছেন, অর্থনৈতিক বৈষম্য যতদিন থাকবে ততদিন এ ঈর্ষা-হিংসা-ঘৃণার শেষ হবে না।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তের অনুন্নত দেশগুলোর জীবনযাত্রার মানকে পশ্চিমা দুনিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর মানে উন্নীত করে তুলতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমতা গড়ে তুলতে না পারলে দরিদ্রতম দেশগুলো চিরদিনই ধনী দেশগুলোকে ঈর্ষা করে যাবে ও ধনী দেশগুলো সর্বদাই দরিদ্রতর দেশগুলোর হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার আতঙ্কে ভুগবে।
মানবচরিত্রের এ শোষক ও শোষিতের মানসিকতার ভেতর থেকে তিনি আরেকটা সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দেন তা হচ্ছে শিল্প-সাহিত্যের প্রতি মানুষকে অধিকতর আগ্রহী ও উৎসাহি করে তোলা। রাসেলের অস্ত্র প্রতিযোগিতা হয়তো এখন কিছুটা কম। কারণ ইতিমধ্যে অজস্র অস্ত্রের মালিক সমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো। এখন বেড়েছে অস্ত্র ব্যবসা। অন্যান্য দেশগুলোকে হয়তো এখন আর অস্ত্র তৈরি করতে হবে না। কারণ সব অস্ত্রের সরবরাহকারী এখন যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশি ভুখণ্ডে প্রায় অধিকাংশ দেশেই এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অবস্থান। অন্যদিকে বিভিন্ন ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা সৃষ্টি ও তা ধরে রাখতে মানুষ তার সব অর্জনকেও বিসর্জন দিচ্ছে। ভারত রাষ্ট্রে মোদির মতো সাধারণ মানুষ ক্ষমতার জন্য আবারও ইতিহাস বিকৃতির পথ বেছে নিয়েছে। এ পথে কী হতে পারে তা ইতিমধ্যে পৃথিবীর মানুষ দেখেছে। মোদি খুব দ্রুত ইসরাইলকে হাতিয়ে নিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে হাতিয়ে নিয়েছে তার মুসলমানবিরোধী মনোভাব নিয়ে। আর সেটা ইতিমধ্যে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছে এনআরসি ক্যাবের মাধ্যমে ভারতে যা অশান্ত করে তুলবে ক্রমে পুরো এশিয়াকেই।
যাইহোক আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন রাসেল তার এ বইতে; যা সবসময় আমাদের ভাবায় আর যার ভেতর থেকে সবসময় আমরা বেরিয়ে আসতে চাই।