খুলনা টাইগার্সের ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোর শটটা ডাইভ দিয়ে ধরতে গেলেন ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি। বল এতটাই জোরে হাতে লেগেছে যে, মুহূর্তেই হাত ফেটে চৌচির। রক্তাক্ত হাত নিয়ে মাঠ থেকে বের হলেন। ডাক্তাররা সেই হাতে দিলেন ১৪টি সেলাই।
বাম হাতে এতবড় ইনজুরির পরও কি মাশরাফি বিন মর্তুজা ইলিমিনেটর রাউন্ডে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে মাঠে নামতে পারবেন? এমন যখন জ্বল্পনা-কল্পনা, তখনই মাশরাফি জানিয়েছিলেন, আমি খেলবো। যেভাবেই হোক খেলবো।
শেষ পর্যন্ত মাশরাফি খেলতে নামলেন। বাম হাতে ব্যান্ডেজ বেধে, ১৪ সেলাই নিয়েই চট্টগ্রামের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বিপক্ষে টস করতে নামলেন মাশরাফি।
টস করার সময় সঞ্চালক যখন তার হাতের অবস্থা জিজ্ঞেস করলেন, তখন মাশরাফি বলেন, ‘আপনি যখন খেলতে নামবেন, তখন কি অবস্থা তা নিয়ে অভিযোগ করতে পারেন না এবং আজ আমি খেলতে নেমেছি, এটাই হলো শেষ কথা।’
শনিবারেই হাতের এতবড় ইনজুরিতে পড়েছিলেন মাশরাফি। সেদিন যখন তার হাতে ব্যান্ডেজ বাধা হচ্ছিল, তখনই জানিয়ে রাখেন, ইলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচটি আমি খেলবোই। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ম্যাচটা বাঁচা-মরার। হারলেই বিদায়। জিতলে টিকে থাকবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে।
এর আগে রোববার ঢাকা প্লাটুনের ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান বলেন, ‘এখানে মাশরাফির ইচ্ছেটাই বড়। আমাকে ম্যানেজার হিসেবে বলতে বলা হলে, আমি হয়ত না করতাম; কিন্তু মাশরাফি তো মাশরাফিই। তার কথা এক পায়ে দাঁড়ানোর মত অবস্থা হলেও বলে আমি খেলবো। কাজেই মাশরাফি খেলতে ইচ্ছুক। বলতে পারেন খেলতে মুখিয়ে আছে। একদম দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।’
এদিকে জানা গেছে, হাতে এতবড় ইনজুরি সত্ত্বেও মাশরাফি বিষয়টা জানাননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের চিকিৎসক দেবাশীষ বিশ্বাসকে।
মাশরাফি হয়তো চিন্তা করেছেন, বিসিবির প্রধান চিকিৎসককে বললে, তিনি লম্বা সময়ের জন্য বিশ্রামে পাঠিয়ে দেবেন। খেলার অনুমতি দেবেন না। তখন তো আর বিপিএলের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটি খেলা হবে না। এ কারণেই হয়তো মাশরাফি প্রধান চিকিৎসককে না জানিয়ে আজ খেলতে নামলেন ১৪টি সেলাই নিয়েও।