ইরফান শুক্কুরের হাফ সেঞ্চুরি এবং নওয়াজ ও রাসেলের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে খুলনাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুক্রবার ফাইনাল ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭০ রান সংগ্রহ করেছে তারা। সুতরাং, শিরোপা জিততে হলে খুলনাকে করতে হবে ১৭১ রান।
১৫ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১০০ রান। শেষ ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭০ রান করে তারা। ওয়ানডাউনে নেমে ৩৫ বলে ৫২ করে আউট হন ইরফান শুক্কুর। ১৬ বলে ২৭ করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। ২০ বলে ৪১ করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নওয়াজ। খুলনার বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির ২টি, ফ্রাইলিঙ্ক ১টি ও শহীদুল ১টি করে উইকেট নেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায়। আমিরের বলে মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান ওপেনার আফিফ হোসেন। ৮ বলে ১০ রান করেন তিনি। এরপর ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর ও লিটন দাস।
বিপিএলে দারুণ ফর্মে থাকলেও ফাইনাল ম্যাচে ভালো কিছু করতে পারেননি লিটন। ২৮ বলে ২৫ করে দলীয় ৬৩ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর শোয়েব মালিক নেমে ১৩ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
- রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করছে মিয়ানমার : ফরটিফাই রাইটস
- ‘কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের জন্য ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি’
অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা না করতে পারলেও দারুণ খেলছিলেন ইরফান শুক্কুর। ৩০ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ইনিংসকে বড় করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শফিউলের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে রাসেল ও নওয়াজ ৭১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন।
আজ যে দলই জয় পাক না কেন বিপিএল নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে। কারণ, খুলনা এবার প্রথমবার ফাইনাল খেলছে। অন্যদিকে, রাজশাহী এর আগে একবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জিততে পারেনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী রয়্যালস ইনিংস: ১৭০/৪ (২০ ওভার)
(লিটন ২৫, আফিফ ১০, ইরফান শুক্কুর ৫২, শোয়েব মালিক ৯, আন্দ্রে রাসেল ২৭*, মোহাম্মদ নওয়াজ ৪১*; মোহাম্মদ আমির ২/৩৫, রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩৩, তানভীর ইসলাম ০/১১, শফিউল ইসলাম ০/৩৮, মেহেদী হাসান মিরাজ ০/২৭, শহীদুল ইসলাম ১/২৩)।