সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পাকিস্তানের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার পর লাহোর বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের বহর।
এর আগে রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে লাহোরের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তামিম- মাহমুদউল্লাহরা।
আগেই জানা, তিনবারে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে সম্মত হয়েছে বিসিবি। গত সপ্তাহে আইসিসির কার্যনির্বাহী সভায় যোগ দিতে দুবাইতে আইসিসিপ্রধান শশাঙ্ক মনোহরের উপস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি এহসান মানির সঙ্গে কথা বলে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন বিসিবি বিগবস নাজমুল হাসান পাপন।
সফরসূচি অনুযায়ী প্রথমে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান, যা শুরু হবে ২৪ জানুয়ারি। পরের খেলা দুটি ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারি ফিরে আসবে জাতীয় দলের বহর। তারপর আবার খেলা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তখন একটি টেস্ট (৭ ফেব্রয়ারি)। এরপর আবার শেষভাগে আরেক টেস্ট আর ওয়ানডে (এপ্রিলে)।
এদিকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগেই কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে নিজেদের চিন্তা-ভাবনার কথা বলেছেন। কোচ ও অধিনায়ক দুজনই মুশফিকের অভাববোধ করার কথা উল্লেখ করেছেন। তবে মুশফিকের না থাকায় তরুণদের উঠে আসার আহ্বান দুজনার কণ্ঠে।
অন্যদিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে মুশফিকের অবর্তমানে তার ও তামিম ইকবালকে বাড়তি দায়িত্ব সচেতনতার তাগিদ। দেশ ত্যাগের আগে বুধবার রাতে অধিনায়ক রিয়াদ ও হেড কোচ ডোমিঙ্গোর কেউ আর মুখ খোলেননি। বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের মধ্যে সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন আর শফিউল ইসলাম বিমানে ওঠার আগে কথা বলে গেছেন।
এদিকে আগেই জানা, টিম বাংলাদেশের অন্যতম সদস্য মুশফিকুর রহীম পরিবারের অসম্মতির কারণে পাকিস্তান যেতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটারদের মধ্যে অবশ্য মুশফিক একাই শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান যাননি। এছাড়া যাদের দলে রাখা হয়েছে, তারা সবাই গেছেন। তবে কোচিং স্টাফের বড় অংশই পাকিস্তান যাননি।
ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি, স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন আর কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসনও পাকিস্তান সফর থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।
এ সফরে দলের সঙ্গী শুধু হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর ফিজিও ক্যালেফ্যাতো। তাদের দুজনকে সহযোগিতার জন্য লঙ্কান চাম্পাকা রামানায়েকে ভারপ্রাপ্ত পেস বোলিং কোচ আর বাংলাদেশের সোহেল ইসলাম ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়া ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক আকরাম খান দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে লাহোর গেছেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও দলের সঙ্গী। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার সাব্বির খান লজিস্টিক ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বোর্ডের হেড অব মিডিয়া রাবিদ ইমামকেও দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে।