নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সব ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটের আগের দিন ও ভোটের দিন ছাড়াও মক ভোটের দিনসহ মোট তিনদিন সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রত্যেক কেন্দ্রের চিত্র ধারণ করা হবে।
জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. আশরাফ হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভােটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য ভােটকেন্দ্র হিসেবে যে সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করা হয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সিসিটিভি ক্যামেরা মক ভোটিংয়ের দিন, নির্বাচনের পূর্বের দিন ও নির্বাচনের দিন ব্যবহার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে শর্ত থাকে যে, ভােটগ্রহণের দিন গোপন কক্ষের কোনো দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আসবে না।
নির্দেশনায় বলা হয়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যাসহ বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে বিদ্যমান সিসিটিভি ক্যামেরা মক ভােটিংয়ের দিন, নির্বাচনের পূর্বের দিন ও নির্বাচনের দিন ব্যবহার করার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে সার্বিক সমন্বয় ও সহায়তার জন্য ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
- ডেসটিনির রফিকুল আমীনের ৩ বছরের কারাদণ্ড
- দুই প্রার্থীর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র
- করোনাভাইরাস: চীনে নিহতের সংখ্যা বাড়ছেই
উল্লেখ্য, ঢাকার দুই সিটিতে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে ৩০ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) মক ভোট হবে। সে অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট তিনদিন সিসিটিভির আওতায় থাকবে ভোটকেন্দ্র।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র এক হাজার ৩১৮টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা সাত হাজার ৮৪৬টি। এ সিটিতে ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১৫০টি। ভোটকক্ষ ছয় ৫৮৮টি। এ সিটিতে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৯৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।