প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, আজকে (বৃহস্পতিবার) আওয়ামী লীগ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যে সমাবেশগুলো করেছে তার আগে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেয়নি- এটা ঠিক হয়নি। ইসির অনুমতি নেয়া উচিত ছিল আওয়ামী লীগের।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ সব কথা বলেন।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের প্রচার চলার মধ্যে মুজিববর্ষের প্রস্তুতি ঘিরে রাজধানীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মিছিল ও সমাবেশ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, সমাবেশ করার আগে নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত ছিল। অনুমতি নেয়া উচিত ছিল। এটা ঠিক হয়নি।
নুরুল হুদা বলেন, শুনেছি, মুজিববর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হচ্ছে। এটা বলেনি। আমি মনে করি নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সভা না করা উচিত ছিল। দরকার হলে আমাদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন ছিল।
দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি ঢাকায় সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে- আওয়ামী লীগের এ অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনো তথ্য জানা নেই। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে বলে এ সময় দাবি করেন সিইসি।
নির্বাচন ঘিরে ঢাকায় বহিরাগতদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কারও কোনো বাসা বাড়িতে তল্লাশি বা রেইড করা হচ্ছে না। তবে হোটেলে, হোস্টেলে কিংবা অন্যান্য জায়গায় যদি বাইরে থেকে কেউ এসে থাকে সেটার ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলায় যারা নিয়োজিত তাদের বলেছি।
- আরও পড়ুন >> ‘জাতিসংঘে ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনার কড়া জবাব দেব’
- আরও পড়ুন >> নুসরাত হত্যা : প্রস্তুত ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের পেপারবুক
তিনি বলেন, আমরা অকারণে ঢাকায় না আসার ব্যাপারে নিরুৎসাহী করছি। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তল্লাশি কিংবা অভিযান চালাতে বলিনি। তবে ভোটকেন্দ্রের চারপাশে যেন অকারণে জটলা না হয়, সে ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।