যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার প্রায় ১৭ বছর। কিন্তু এত বছর পার হয়ে গেলেও এর ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিস্ফোরণের জেরে তৈরি দূষণের শিকার হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মার্কিন নাগরিক। যারা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন।
সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গেছে, বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ারে অপহৃত দুটি বিমান আছড়ে পড়লে বিস্ফোরণের অভিঘাতে জেট ফুয়েল, অ্যাসবেস্টস, সিমেন্ট ও কাচের গুঁড়ো মিশে যাওয়ার ফলে দূষিত হয় শহরের বায়ুমণ্ডল। তার জেরে মারণরোগে আক্রান্ত হয়েছেন এখনও পর্যন্ত অন্তত নয় হাজার ৭৯৫ বাসিন্দা। এই খবর মিলেছে নিউইয়র্ক পোস্ট সংবাদপত্রে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হেলথ প্রোগ্রামের প্রতিবেদনে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ওই কর্মসূচি গ্রহণ করার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
২০১৫ সালে ৯/১১ সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত দূষণের জেরে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ২০৪, যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় আট হাজার ১৮৮ জনে।
ডব্লিউটিসি হেলথ প্রোগ্রামের মেডিক্যাল ডিরেক্টর চিকিত্সক মাইকেল ক্রেন জানিয়েছেন, ‘প্রতি সপ্তাহে ১৫-২০ বার আমাদের কাছে সাম্প্রতিক রোগীর সংখ্যা পাঠানো হয়। যতই চেষ্টা করা যাক না কেন, আমেরিকার বয়স্ক জনসংখ্যায় ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।’
পরিসংখ্যান বলছে, অভিশপ্ত দিনটির পর থেকে ১,৭০০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪২০ জন ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন।
ক্রেনের দাবি, বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষ প্রভাবে থাইরয়েড ক্যানসার এবং ত্বকের মেলানোমার হার বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রবণতা বাড়ছে ব্লাডার ক্যানসারের। এছাড়া নিউইয়র্কবাসীর মধ্যে দেখা দিচ্ছে স্তনের ক্যানসার এবং রক্তের কোষজনিত সংক্রমণের হার।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বিখ্যাত টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়েছিল দুটি বিমান। মুহূর্তেই ধসে পড়ে সুউচ্চ টাওয়ার দুটি। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।