ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আজ রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে মাঠে নেই বিএনপি। আজ সকাল ৬টা থেকে হরতাল শুরু হয়েছে, যা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। ২০১৫ সালের পর বিএনপির ডাকা এ হরতাল পালিত হলেও, রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, পল্টন, কাকরাইল, শান্তিনগর অঞ্চলে হরতালের সমর্থে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনারও ঘটেনি।
হরতাল ডেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে না থাকলেও রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। তবে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজিসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি ওই নির্বাচনের প্রথম বর্ষপূর্তি ঘিরে ২০১৫ সালের শুরু থেকে টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ করে। পাঁচ বছর আগের ওই আন্দোলনের সময় বাসে আগুন ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপসহ নাশকতার নানা ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ মারা যায়। ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
দীর্ঘ বিরতী দিয়ে রোববার বিএনপি আবারও হরতাল ডাকলে কারও কারও মনে কিছুটা ভয় কাজ করে। তবে সকাল হতেই সেই ভয় উবে যায়। ঘর থেকে বের হয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন চাকরিজীবীরা। কর্মজীবীরাও ছোটেন কাজের সন্ধানে।
- ঢাকাবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- করোনাভাইরাস : নিহতের সংখ্যা ৩শ ছাড়িয়েছে
- চরম ঝুঁকিতে দেশ: ৯টি ফ্লাইটে আসছে চীনের যাত্রী
একটি বীমা কোম্পানির কর্মকর্তা বলেন, হরতাল হলেও আমাদের অফিস খোলা থাকে। তাই অফিসে যেতেই হয়। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম দেখি। তবে গাড়িতে উঠতে কোনো সমস্যা হয়নি এবং কোনো অঘটন ছাড়াই অফিসে এসেছি।
তিনি বলেন, যে যাই বলুক রাজনীতিতে বিএনপির সেই ধার আর নেই। বিএনপির পক্ষে এখন যে কোনো ধরনের আন্দোলন করা বেশ কঠিন। এছাড়া মানুষও এখন ঝামেলায় জড়াতে চায় না। সবাই শান্তিতে বসবাস করতে চায়।