প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে যেন প্রবেশ করতে না পারে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে এই ভাইরাস ঠেকাতে হবে। এর জন্য কী কী করণীয় এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সরকারপ্রধান।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও ব্যক্তিদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন। সেখানে তিনি এই নির্দেশ দেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের নিয়ে আলাদা বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এই ভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয় যেভাবেই হোক করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশের সবধরনের সুযোগ বন্ধ করতে হবে। চীন থেকে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করবে, তাদেরকে টানা ১৪ দিন বিশেষ ব্যবস্থায় তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। ইতিমধ্যে যে ৩১৬ জনকে বিমানে করে আনা হয়েছে, তাদেরকে সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আব্দুল্লাহ। তিনি এ সময় বলেন, এর আগে যেসব ভাইরাসের উদ্ভব ঘটেছিল, সেগুলো সেভাবে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়েনি, যতটা করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে।
সচিব বলেন, চীন বা বিভিন্ন দেশ থেকে যে নাগরিক আমাদের দেশে আসছে, তাদেরকে সে দেশে সর্বোচ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই পাঠানো হচ্ছে। এরপরেও আমরা এখানে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করে তাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করছি।
- মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : শুরু হলো ট্রাম্পকে হারানোর লড়াই
- ব্রেক্সিটের প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক খাতে পড়ার আশঙ্কা
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে চাইনিজ যেসব নাগরিক কর্মরত আছে, তাদের মধ্যে যারা গত ১৮ তারিখের পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, তাদেরকে আমরা বিশেষ তদারকিতে রেখেছি।
চীনের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ইতিমধ্যে এসব ফ্লাইটে ১২ থেকে ১৫ জন লোকের বেশি যাত্রী হচ্ছে না, ফলে এটা এমনিতেই বন্ধ করে দেবে হয়তো বিমান কর্তৃপক্ষ।