জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত তিনটি আসনে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০সহ তিনটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হবে। ঢাকা-১০ ছাড়াও একইদিন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচন হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আলমগীর ভোটের তারিখ ঘোষণা করেন।
ঢাকা-১০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করলেও অন্য দুই সংসদীয় আসনে পুরোনো পদ্ধতি তথা ব্যালটে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ইসি সচিব।
মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল ১৯ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৩ ফেব্রুয়ারি, আপিল দায়ের ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ২৮ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১ মার্চ। ভোট নেওয়া হবে ২১ মার্চ।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইউনুস আলীর মৃত্যুতে ২৭ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-৩ ও মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুতে ৯ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। এজন্য ঢাকা-১০ আসনটিও শূন্য ঘোষণা করা হয়।
শূন্য ঘোষিত বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে উপনির্বাচনের তারিখ পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান ইসি সচিব।
ঢাকা ১০ আসনের উপনির্বাচনে পোস্টার-মাইকিংয়ের বিকল্প চায় ইসি
পোস্টার- মাইকিংয়ের মতো প্রচলিত নির্বাচনী প্রচার পদ্ধতি আগামীতে আর ব্যবহার করতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা ১০ আসনের উপনির্বাচন এর প্রচারণার বিষয়ে প্রার্থীদের সাথে বসবে ইসি।
ইসির সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি এই মূহূর্তে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এ জন্য আমরা শুধুমাত্র ঢাকা ১০ আসনের প্রার্থীদের সাথে আলোচনা করব। বিধিমালার মধ্যে থেকে পরিবেশ ক্ষতিকারক পোস্টার মাইকিংয়ের বিকল্প নির্বাচনে ব্যবহার করা যায় কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এতে অবশ্যই প্রার্থীদের মতামত নেয়া হবে, যা হবে সমঝোতার ভিত্তিতে হবে।
পোস্টার-মাইকিং বাদ দিয়ে পথ সভা, টিভি বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন করে নির্বাচনী প্রচার করার আইডিয়া কমিশন প্রার্থীদের দিবে, পাশাপাশি প্রার্থীদের কোন আইডিয়া থাকলে কমিশন তা গ্রহণ করবে বলে ইসি সচিব জানান।