চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাস। গত ডিসেম্বর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিশ্বের বহু দেশ ও কোম্পানি এর ভ্যাকসিন তৈরির সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ গবেষণা চালিয়ে চীনের বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন।
এর কার্যকারিতা ও ভুলত্রুটি খতিয়ে দেখতে ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালানো শুরু করেছেন তারা। রোববার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খবর চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের।
কোনো রোগের নতুন প্রতিষেধক তৈরি হলে মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পূর্বে প্রথম ধাপ হিসেবে প্রাণীর ওপর পরীক্ষা করা হয়। চীনের সাংহাইয়ের তোংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা স্বাস্থ্যবান ইঁদুরের ওপর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছেন।
তোংজি ইউনির্ভাসিটি স্কুল অব মেডিসিনের অন্তর্গত সাংহাই ইস্ট হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট লিউ ঝোংমিন জানিয়েছেন, ইঁদুরের ওপর ভ্যাকসিন পরীক্ষা হলো প্রথম ধাপ। এটি সফল হলে এর চেয়ে বড় প্রাণী যেমন বানরের ওপর পরীক্ষা চালানো হবে। যদি সেটি সফল হয় তবেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হবে।
প্রেসিডেন্ট লিউ জানান, প্রাথমিক ধাপে পরীক্ষা করতে অন্তত ১০০টি ইঁদুরের প্রয়োজন হবে। রোববার থেকেই এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
এই ভ্যাকসিনের ডিজাইন ও গবেষণায় কাজ করেছে, চীনের সিডিসি, তোংজি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংহাইয়ের একটি ভ্যাকসিন তৈরির কোম্পানি। জানুয়ারির শেষ দিকে চীনের সিডিসি এন্টিজেন পাওয়ার পর মাত্র দুই সপ্তাহে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন লিউ ও তার দল।
- আরও পড়ুন >> প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় কলেজ শিক্ষিকাকে পুড়িয়ে হত্যা!
- আরও পড়ুন >> আজীবন ক্ষমতায় থাকার বাসনা ট্রাম্পের!
- আরও পড়ুন >> করোনা ভাইরাস : চীনে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল
সাংহাইয়ের ওষুধ কোম্পানি স্টেমিরনা থেরাপিউটিকস এলএলসি এর সিইও ডা. লি হ্যাঙওয়েন বলেন, তিনটি ধাপে পরীক্ষার পর ভ্যাকসিনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে কয়েক মাস থেকে শুরু করে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
ডা. লি জানান, যদি প্রাথমিক ধাপের পরীক্ষায় সফল হয় তবে পরবর্তী ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এপ্রিলেই শুরু করা সম্ভব হবে।
সাধারণ মানুষের চাওয়া খুব দ্রুত কোনো কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করে করোনাভাইরাসকে চীরবিদায় জানানো হোক। অপরদিকে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোনো ওষুধ তৈরি হলে তা কঠোর পরীক্ষা চালানোর পরই চূড়ান্ত ব্যবহার করতে হবে।