চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে সিঙ্গাপুরে আরও ২ বাংলাদেশি নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দ্য স্ট্রেইট টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ৪ প্রবাসী বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ৩৯ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তিনি সেলেটার অ্যারোস্পেস হাইটস নামের একটি এলাকায় কাজ করতেন। তারও আগে গত শনিবার একই স্থানে আরেক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে নতুন করে আরও ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮ জনে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পাসধারী ৩৭ ও ৩০ বছর বয়সী আরও দুই বাংলাদেশিকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে।
৩৭ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশির সিঙ্গাপুরের ওয়ার্ক পাস রয়েছে। সম্প্রতি চীন সফরের কোনও ইতিহাস নেই তাদের। বর্তমানে তাকে সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসোলেশন কক্ষে রাখা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৩৬৩ জন।
- আরও পড়ুন >> সমবায় ব্যাংকের আনাদায়ী ঋণ ১৯৪ কোটি: স্বপন ভট্টাচার্য্য
- আরও পড়ুন >> মন্ত্রিসভায় দপ্তর পুনর্বণ্টন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে শ ম রেজাউল
- আরও পড়ুন >> বিআরটিসি বিল পাস: থাকছে শেয়ার বিক্রি ও ইজারা দেয়ার বিধান
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, চীনে এখন পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৮০৪ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু বুধবারই দেশটিতে ১৫ হাজার ১৫২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। চীনা ভূখণ্ডেই গত ডিসেম্বর থেকে বুধবার পর্যন্ত করোনায় প্রাণ গেছে এক হাজার ৩৬৭ জনের। তবে এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে বুধবার। ওইদিন দেশটিতে করোনা আক্রান্ত কমপক্ষে ২৫৪ জন মারা গেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ভাইরাসের নামকরণ করেছেন কোভিড-১৯ নামে। আরও লাখ লাখ মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।