ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লেগে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া এলাকায় রাত দেড়টার দিকে বাসটি একটি থেমে থাকা ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গাড়িতে থাকা ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম ও ড. ধনঞ্জয় কুমারসহ অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে ড্রাইভার-হেলপারসহ ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আশঙ্কাজনক ১১ জনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, সাবজেক্টভিত্তিক শিক্ষা সফরের জন্য গত ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের (এমবিএ ২০১৭-১৮) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা নওগাঁর শাপাহারের একটি কৃষিফার্ম পরিদর্শনে যায়।
এ সময় তাদের সঙ্গে ‘এগ্রি বিজনেস’ কোর্সের শিক্ষক ড. মুর্শিদ আলম ছিলেন। বিষয়ভিত্তিক ফিল্ডওয়ার্ক শেষে নওগাঁ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ‘রাজ মোটরস’নামে একটি ভাড়ায়চালিত বাসে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে বাসটি কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া নামক স্থানে পৌঁছায়। গাড়ির চালক দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যান। এ সময় বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসতে থাকা বাহন দেখে চালক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে ওই ট্রাকের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে।
এ সময় বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে রাস্তার পাশে থাকা গাছের সঙ্গে আটকে যায়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অন্যদিকে বাসের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটিও খাদে পড়ে যায়।
ঘটনার পর পরই কুষ্টিয়া থেকে পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. পারভেজ হাসান জানান, প্রায় ২৮ জনকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এদের মধ্যে কয়েকজন একটু বেশি আহত হয়েছেন। তবে তারা শঙ্কা মুক্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ গণমাধ্যমকে বলেন, কুষ্টিয়া মেডিকেলে দুই ছাত্রী ও পাঁচ ছাত্র ভর্তি রয়েছেন। তারা শঙ্কামুক্ত। অন্যদের চিকিৎসা দিয়ে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। চালক ও হেলপার বেশি আহত হয়েছে, তাদের চিকিৎসা চলছে। ইবি মেডিকেলে ৪ শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন, তারাও শঙ্কামুক্ত।