জমে উঠেছে বইমেলা, বাড়ছে বিক্রি

সাহিত্য ডেস্ক

বইমেলা
ফাইল ছবি

বইপ্রেমীদের বিচরণে জমে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা। শুরুর দিকের বেশির ভাগ মেলায় ঘুরতে এলেও এখন প্রায় সবাই বইয়ের ক্রেতা। মেলা প্রাঙ্গণের পরিসর যথেষ্ট বড় করার পরও আজ সোমবার বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি প্রকাশনীতে ছিল পছন্দের বই কেনার ভিড়।

রাজশাহী থেকে ঢাকার বইমেলা দেখতে এসেছেন সুদীপ্ত চাকমা। বড় পরিসরে বিপুল বইপ্রেমী দেখে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, বছরের এই একটা মাসের জন্য অপেক্ষায় থাকি। যত দূরেই থাকি না কেন চেষ্টা করি একবার হলেও বইমেলায় আসার। এবারের স্তরবিন্যাস খুবই চমৎকার হয়েছে। খুঁজে পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। আর প্রচুর বসার জায়গা রয়েছে। এটা খুব ভালো একটা দিক। এতদূর ভ্রমণ করে আসার পরেও খুব একটা একঘেয়েমি লাগছে না।

মুজিববর্ষকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে এবারের বইমেলা। দুই পাশে দুটি ফুডকোর্ট, শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিসের শিক্ষামূলক কার্যক্রম এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানামুখী কার্যক্রম বেশ ভালো লেগেছে বইপ্রেমীদের। তারা স্মৃতি জমানোর জন্য প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই ছবি তুলছেন। সবশেষে বই কিনে নিয়ে ফিরছেন বাড়ি। ফলে বিকাল থেকে রাত অবধি দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকছে।

এত ভিড়ের মধ্যেও ধুলোর খুব একটা প্রকোপ নেই এবার। কারণ মেলা শুরু হওয়ার আগেই ওয়াসা থেকে পানি ছিটানো হয় পরিমাণমতো। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়মিত পরিষ্কার রাখছে মেলা প্রাঙ্গণ। ফলে একটি চমৎকার পরিবেশে ভিড়ের মধ্যেও সন্তুষ্ট বইপ্রেমীরা।

নতুন বই

সোমবার মেলার ১৬তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৩৫টি। এরমধ্যে অনন্যা এনেছে হানিফ সংকেতের রম্যরচনা ‘টনক নড়াতে টনিক’, কথা প্রকাশ এনেছে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘ভালো মানুষের জগৎ’, ঐতিহ্য এনেছে গ্রেব্রিয়েল গার্সিয় মার্কেজের অশোক দাস গুপ্ত অনূদিত ‘প্রেম নয়, মৃত্যুই অনিবার্য’, চারুলিপি এনেছে নূরুল ইসলাম নাহিদ ও পিয়াস মজিদ সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সংকলন ‘জয় বাংলা’, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এনেছে মোনায়েম সরকারের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’, আবিষ্কার এনেছে এমাজউদ্দীন আহমদের ‘ইসলাম ও উন্নত জীবনব্যবস্থা’, পুঁথিনিলয় এনেছে সেলিনা হোসেনের ‘পূর্ণ ছবির মগ্নতা’।

মূলমঞ্চে আলোচনা

গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ রচিত ‘৭ মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব-ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন

ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ এবং ড. কুতুব আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।

কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি মুজিবুল হক কবীর, আয়শা ঝর্না, চঞ্চল আশরাফ এবং মাজুল হাসান। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মেহেদী হাসান, তিতাস রোজারিও এবং সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ। ছিল সাইমন জাকারিয়ার পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ভাবনগর ফাউন্ডেশন’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন আলম দেওয়ান, মোক্তার হোসেন, রহিমা খাতুন, শারমিন সুলতানা এবং মো. মাহাবুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে