হিলি স্থলবন্দরে ১৫ মার্চ থেকে মিলবে ভারতীয় পেঁয়াজ। ইতোমধ্যে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে হিলির ১০ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
দিল্লির এক আদেশে আগামী ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির কথা চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে র্দীঘ ৫ মাস পর ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলো।
নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। গত ২৬ ফেরুয়ারি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভাপতিত্বে এক আন্তঃ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
দেশটির খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করে টুইটারে পোস্ট দিয়েছিলেন। ওই ঘোষণার ৫ দিনের মাথায় ২ মার্চ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশনা জারি করা হয়।
- বাংলাদেশিদের করোনামুক্তির সনদ ছাড়া কুয়েত প্রবেশে মানা
- সাগর-রুনি হত্যা : কার্যতালিকা থেকে তানভীরের আবেদন বাদ
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদবের সই করা ওই নির্দেশনায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া পেঁয়াজ রপ্তানিতে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়। এ নির্দেশনা ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নাজমুল ও আহম্মেদ আলী সরকার বলেন, ‘নির্দেশনার কপি ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মাধ্যমে রাতেই আমরা হাতে পেয়েছি। তাতে পেঁয়াজের ন্যূনতম কোনো রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। এতে আমরা ভারত থেকে যে দামে পেঁয়াজ কিনব সেই দামেই এলসির মাধ্যমে দেশে আমদানি করতে পারব। আমরা উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে আইপির জন্য আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেঁয়াজের এলসি খোলা হবে। এর ফলে ১৫ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে। এছাড়া আসন্ন রমজানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে এলসিও খোলা হবে।’