করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ইউরোপের প্রায় সব ফুটবল লিগ এখন স্থগিত। খেলোয়াড়রা যে যেভাবে পারছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে নিজেকে কোয়ারেন্টিনে রাখছেন। ব্যতিক্রম নন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। জুভেন্টাস সতীর্থ দানিয়েল রুগানির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরে জন্মভূমি পর্তুগালের মাদেইরায় গোটা পরিবার নিয়ে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন পর্তুগিজ মহাতারকা।
সেখান থেকেই সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন, আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করার। বিশ্বব্যাপী মহাদুর্যোগের এই সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এমন শুকনো পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু রোনাল্ডো শুধু পরামর্শে আটকে না থেকে করোনা প্রতিরোধে অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছেন। করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য পর্তুগালে নিজের বিলাসবহুল হোটেলগুলোকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এমনটাই জানিয়েছে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা।
নিজে আপনজনদের নিয়ে নিরাপদে আছেন ঠিকই, কিন্তু তার দেশের মানুষ ঠিক আছে তো? মূলত এই চিন্তা থেকেই হোটেলকে রাতারাতি হাসপাতালে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন রোনাল্ডো। পর্তুগালে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে পর্তুগিজ লিগ।
পর্তুগালে নিজের ‘পেস্তানা সিআর সেভেন’ ব্র্যান্ডের কয়েকটি হোটেল আছে রোনাল্ডোর। যার মূল দুটি শাখা লিসবন ও মাদেইরায়। সেগুলোকে এখন অস্থায়ী হাসপাতালে পরিণত করা হবে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। হাসপাতালের যাবতীয় খরচ বহন করবেন রোনাল্ডো। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের বেতনও দেবেন তিনি নিজে।
- বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
- করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ছয় হাজার ছাড়াল, সুস্থ ৭৮ হাজার
মার্কা জানিয়েছে, এ সপ্তাহেই চালু হবে হাসপাতালগুলো। তবে এ ব্যাপারে রোনাল্ডোর পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
এর আগে শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে করোনার ভয়াবহতা নিয়ে এক সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছিলেন রোনাল্ডো, ‘বিশ্ব এখন কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা সবাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলি। বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় এটাই সবচেয়ে বেশি কাজে দেবে। মানুষের জীবনের দাম সবকিছুর চেয়ে বেশি।’