শনিবার পদ্মা সেতুর ২৭তম স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। জাজিরা প্রান্তের নদীর মধ্যে ২৭ ও ২৮ নম্বার পিলারের ওপর এটি বসানো হয়। এতে পদ্মা সেতুর ৪ হাজার ৫০ মিটার বা চার কিলোমিটারেরও বেশি দৃশ্যমান হয়েছে।
এর আগে গত ১০ মার্চ ২৬ তম স্প্যানটি বসানো হয়। ২৭তম স্প্যানটি সফলভাবে বসানোর ফলে এখন আর মাত্র ১৪টি স্প্যান বসানো বাকি থাকলো।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, দেশে করোনাভাইরাস আতঙ্ক থাকলেও পদ্মা সেতুর কাজ থেমে নেই। শনিবার ২৭তম সুপার স্ট্রাকচার বা স্প্যানটি সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার স্প্যানটি ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ পিলার দুটির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীদের সহায়তায় আজ শনিবার ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেন সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের ওপর বসিয়ে দেয়। প্রথমে ভাসমান ক্রেনটি নোঙর করে পজিশনিং করে ইঞ্চি ইঞ্চি মেপে স্প্যানটিকে তোলা হয় পিলারের উচ্চতায়। তারপর দুই পিলারের বেয়ারিংয়ের ওপর রাখা হয় স্প্যানটিকে। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এভাবেই স্প্যানটি বসিয়ে দেয়া হয় পিলারের ওপর।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি আরও দুটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ নিয়ে প্রস্তুতিও চলছে। এর আগে গত ১০ মার্চ সেতুর ২৬তম স্প্যান বসানো হয়েছে। আর আজ শনিবার ২৭তম স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুতে আর মাত্র ১৪টি স্প্যান বসানো বাকী থাকলো।
- আরও পড়ুন >> করোনায় আক্রান্ত হলেন রানি ২য় এলিজাবেথ
তবে একটি সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে প্রদ্মা সেতু প্রকল্পের দেশীয় শ্রমিকদের অধিকাংশই এখন ছুটিতে রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলীও রয়েছে। এখন দেশীয় শ্রমিকরা আগে জোড়া লাগানো স্প্যানে রং করার কাজ করছে। তারা যথেষ্ট সুরক্ষিত হয়েই সেতুর কাজ করছে।
সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুতে বসানোর জন্য এখনও পাঁচটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। এর মধ্যে দুটিতে রং করার কাজ চলছে। শ্রমিকরা ছুটি থেকে ফিরে এলে এ কাজের গতি আরও বাড়বে। এ ছাড়া আগামী ২০ এপ্রিল চীনে প্রস্তুত সর্বশেষ স্প্যান দুটি বাংলাদেশের উদ্দেশে শিপমেন্ট করা হবে।