ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ভারতের কেরালা রাজ্য। রাজ্যের ১৪টি জেলার একটি বাদে সবই পানির নিচে। গত নয় দিনে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২৪ জনে। আর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এখনো কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
শুক্রবার কোচির আলুভা এলাকায় হঠাৎ করে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্তানসম্ভবা সজিতা জাবিল। অ্যামনিয়োটিক থলি ফেটে গিয়ে আরো বিপদ বাড়ে ২৫ বছরের ওই নারীর। পরে তাকে পানিবন্দী অবস্থায় উদ্ধার করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। পরে সেনা হাসপাতালে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কেরালার বন্যা পরিস্থিতিতে সজিতার কাহিনিই আশার আলো দেখাচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে শুক্রবার এক টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেন, ‘গত ১০০ বছরে এত ভয়ঙ্কর বন্যা দেখেনি কেরালা। শনিবার পর্যন্ত ফের নতুন করে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারের হিসেবমতো, মৃত ৩২৪। এখনও পর্যন্ত অন্তত দু’লক্ষ মানুষ গৃহহীন। ১৫০০টি অস্থায়ী শিবিরে ঠাঁই হয়েছে তাদের। ৮০টি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাব। পেট্রোল পাম্পে মিলছে না তেল।’
এমন অবস্থায় কেরালা পরিস্থিতি দেখতে সেখানে হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর কেরালার পরিস্থিতি দেখতে যাওয়ায় মোদির প্রশংসায় মেতেছে বিজেপি। তবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী অভিযোগ করে বলেন যে, গত কয়েকদিন ধরে কেরালায় যেতে চাইলেও তাকে অনুমতি দেয়া হয়নি।
টুইটে রাহুল লিখেছেন, ‘কেরালা, কর্নাটকের কোদাগু বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত। আমাদের কর্মী এবং নেতাদের এখন কংগ্রেসের সেবামূলক মূল্যবোধ এবং ভালবাসা দেখানোর সময়। নিজের সবটুকু দিয়ে পাশে দাঁড়ান।’
বন্যার ভয়াবহতার কারণে কেরালায় সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ শনিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিলো কোচি বিমানবন্দর। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় এর মেয়াদ আরো বাড়ানো হতে পারে।