মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে রাজধানী ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম মহানগরে প্রবেশের পথগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ এখন নগরে ঢুকতেও পারবে না, বেরোতেও পারবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান নগরের প্রবেশপথে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে ঢাকার কিছু পোশাক কারখানা চালু হওয়ার খবরে শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকসহ হাজারো মানুষের ঢাকামুখী ঢল নামে। করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনার মধ্যে এই জনস্রোতে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী রাজধানীকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আগমন-বহির্গমন বন্ধে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন বাহিনীর সদস্যদের।
এদিকে চট্টগ্রামে দুই দিনের ব্যবধানে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও নগরের বিভিন্ন পথ দিয়ে প্রতিদিনই হাজারো মানুষ যাতায়াত করছিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানও বন্দর নগরে আগমন-বহির্গমনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘বলপ্রয়োগ করে মানুষকে আইন মানানো সম্ভব নয়। তাদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। লকডাউন আরও কঠোর করতে আমরা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাড়া সকল প্রকার দোকান, মার্কেট এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। চট্টগ্রাম নগরের সব প্রবেশপথ ও বিভিন্ন পয়েন্টে সিএমপির পক্ষ থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘ঢাকার মতোই চট্টগ্রামেও প্রবেশপথ বন্ধের দরকার ছিল। কারণ আপনি কাকে সাসপেক্ট করবেন? আমরা তো তাদের (বিদেশফেরত) সবাইকে কোয়ারেন্টাইনের শর্তেই ছেড়েছিলাম। কিন্তু উনারা বাড়ি গিয়েই সমাজে মিশে গেছেন। এখন আমরা আবারও ওমরাফেরতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করছি। এর বাইরে যারা তাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদেরও ট্রেস করার চেষ্টা চলছে। মানুষকে কোনোভাবেই বোঝানো যাচ্ছে না। বাজারে-মসজিদে কোথাও ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। এভাবে হলে সামাজিক সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।’