মহামারি আকার ধারণ করা রোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
সোমবার ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে এ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবগুলো হলো-
১. সকল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী পেশার সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞগণ এবং দল মত নির্বিশেষে জাতির সকল অঙ্গের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা।
২. প্রায়-যুদ্ধকালীন এক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সর্বদলীয় টাস্কফোর্স গঠন এবং জাতীয়-আঞ্চলিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৩. করোনা বিস্তাররোধে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৪. কর্মহীন শ্রমিক, বিশেষ করে গার্মেন্টস নারী শ্রমিক, হতদরিদ্র দিনমজুর, প্রান্তিক কৃষক, প্রতিবন্ধী, ছিন্নমূল শিশু সহ অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে খাদ্য সামগ্রীর ন্যায্যমূল্যে রেশনিং চালু করা।
৫. করোনা পরবর্তী আর্থ- সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘আপদকালীন অর্থনৈতিক কাউন্সিল’ গঠন করা।
ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, ড. আবদুল মঈন খান, মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার ভয়াবহতা ইতিমধ্যেই এক বৈশ্বিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এই সংকট ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশেও বিস্তার লাভ করছে, এ আশংকা এখন সবার মনে। সরকার কর্তৃক করোনার ঝুঁকিতে পড়া ১৮ কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা এবং ব্যাপক ভিত্তিতে করোনা টেস্টিং কার্যক্রম সারাদেশে বিস্তৃত করা এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন।
তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান যে এখন এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে করোনা সংক্রমন বিস্তার লাভ করার পরিস্থিতি আগতপ্রায়। এতে করে জনগণ এই মুহূর্তে এক চরম অনিশ্চয়তার ভেতর কালাতিপাত করছে । গার্মেন্টস সেক্টর খোলা এবং বন্ধ রাখার সমন্বয়হীন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত শাটডাউনের কার্যক্রমকে চূড়ান্তভাবে বিপর্যস্ত করায় জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে। বলা বাহুল্য, কোন সংকীর্ণ ও দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়।