করোনা ভাইরাস মহামারির কেন্দ্র এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। মৃতদের শেষকৃত্যের জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ হাজার ১৪ জন।
এছাড়া করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৮ হাজার ২৮৫ জন। এ তথ্য জানিয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
যুক্তরাষ্ট্রের শুধু নিউইয়র্কেই মৃত্যু হয়েছে ১৭ হাজার ৬৭১ জনের। এই প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৪১ জন। নিউ জার্সি শহরে মৃত্যু হয়েছে ৪০৭০ জনের। ম্যাসাসুসেটসে মৃত্যু হয়েছে ১৫৬০ জনের। মিশিগানে মৃত্যু হয়েছে ২৩০৮ জনের, ইলিনয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২৫৯ জনের, লুসিয়ানায় মৃত্যুর সংখ্যা ১২৬৭ জন, কানেকটিকাটে ১০৮৬ জন, পেনসেলভেনিয়ায় ১১০২ জন। অন্য সব শহরগুলিতে মৃতের সংখ্যা ১০০০ এর কম।
রবিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৭৫৫ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৩৭ জন। অপরদিকে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩৭ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত তিন মাসে বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।