নিলামে একটি নয়, দুটি জার্সি বিক্রি হলো সাবেক ফুটবলার মোনেম মুন্নার। অকশন ফর অ্যাকশনের মাধ্যমে নিলামে তোলা হয় ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপজয়ী দলের জার্সিটি। যেটি পরে খেলেছিলেন মোনেম মুন্না। সেই জার্সিটি নিলামে বিক্রি হলো ৩ লাখ টাকায়। সঙ্গে মুন্নার এক ভক্ত, নিলামের লাইভেই মুন্নার আবাহনীতে খেলা আরেকটি জার্সি কিনে নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়।
একই সঙ্গে ফিফার সাবেক রেফারি তৈয়ব হাসান বাবুর একটি ঐতিহাসিক জার্সিও নিলাম করা হয়। তার এই জার্সিটি বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়।
দেশীয় নিলামকারী প্রতিষ্ঠান অকশন ফর অ্যাকশনে শনিবার রাতে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নিলামে সরাসরি অংশ নেন মোনেম মুন্নার স্ত্রী সুরভি মোনেম, রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু। সঙ্গে লাইভ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক ফুটবরার হায়সার হামিদ, শেখ মোহাম্মদ আসলাম, সত্যজিৎ দাস রুপু।
করোনা দুর্গতদের সাহায্যের জন্য প্রয়াত ফুটবলার, ‘কিং ব্যাক’ খ্যাত মোনেম মুন্নার একটি ঐতিহাসিক জার্সি নিলামে তোলার ঘোষণা দেন তার স্ত্রী সুরভি মোনেম। দেশীয় নিলামকারী প্রতিষ্ঠান অকশন ফর অ্যাকশনের মাধ্যমে নিলামে তোলা হয় মোনেম মুন্নার ১৯৮৯ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ জয়ে যে জার্সি পরে খেলেছেন, সেই জার্সিটি।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা অর্জন করে। মোনেম মুন্না ছিলেন সেই দলের সদস্য। তার স্ত্রী সুরভি মোনেম করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মাঠে নামেন সেই ঐতিহাসিক জার্সি নিয়ে।
একই সঙ্গে নিলামে ওঠে রেফারি তৈয়ব হাসান বাবুর একটি ঐতিহাসিক জার্সি। ফিফার সাবেক এই রেফারি ২০১৩ সাল নেপালে প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে পরিচালনা করেছিলেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তিনি সেই ঐতিহাসিক জার্সিটি নিলামে তোলেন। যার দাম আগেই ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বলে রেখেছিলেন সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান নাসিম ফারুক খান মিঠু। শেষ পর্যন্ত তিনিই এই দামে জার্সিটি কিনে নিয়েছেন।
নিলামে তোলা হয়েছিল মোনেম মুন্নার ১৯৮৯ সালের প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপের জার্সি। সেটা বিক্রি হয় ৩ লাখ টাকায়। কিনে নিয়েছেন কার্নিভাল ইন্টারনেটের স্বত্ত্বাধিকারী। কিন্তু নিলাম চলাকালীন মাহবুব নামে এইচএসবিসির সিইও, যিনি আবাহনী এবং মুন্নার ভক্ত, আরেকটি জার্সি চেয়ে বসেন সুরভি মোনেমের কাছে। সেখান থেকেই আবাহনীর হয়ে মুন্নার ব্যবহার করা ২ নম্বর জার্সিটি কিনে নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার টাকায়।
মোনেম মুন্নার স্ত্রী সুরভী মোনেম দুটি জার্সি বিক্রি হওয়ায় শুকরিয়া প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি খুশি। আলহামদুলিল্লাহ। আমি অনেক অনেক খুশি হয়েছি। আমার উদ্দেশ্য গরীব মানুষকে সাহায্য করা। যে দামে বিক্রি হয়েছে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’