রুদ্রমূর্তি নিয়ে স্থলভাগে তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। এখন পর্যন্ত ১০ জনর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এমনিতেই প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাসের দাপটে বিপর্যস্ত পুরো দুনিয়ার মানুষ। এরই মধ্যে নতুন বিপদ এসে হাজির। আম্ফানের আঘাতে শতাধিক গ্রাম তলিয়ে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি। পুরো অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন। আমরা আশা করি- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আক্রান্ত এলাকায় দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। একই সঙ্গে এই দূর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের জানাচ্ছি অভিনন্দন।
এদিকে এমন বৈরি সময়ে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর সমাগত। এবারের ঈদ বাংলাদেশের মানুষের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। এমন পরিবেশে সবাইকে আহ্বান জানাব স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের উৎসব পালন করতে। আমাদের মনে রাখতে হবে- ঈদের শিক্ষা হলো সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও একাত্মবোধের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ এবং পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার সম্প্রসারণ। সমাজের গরিব অভাবী মানুষও যাতে এই মহাআনন্দে শামিল হতে পারে, সেজন্য ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা আশা করি- এ ক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন। ঈদে আদর্শবাদিতা, মার্জিত রুচিবোধ আর শালীনতার প্রকাশ ঘটে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য থেকে বিচ্যুত না হয়ে সামাজিকতা এবং মানবতাবোধকে সমুন্নত করাই ঈদের মূল তাৎপর্য। মানবিক সাম্য, ত্যাগ, সহমর্মিতার বিস্ময়কর ও অপরূপ আলোকপ্রভা উদ্ভাসিত হোক এই ঈদে। সবাইকে মত ও পথের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।