দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মাঝেই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ব্যাংকাররা। তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকির ভেতর রয়েছেন সরকারি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত ব্যাংকটির ১০৩ জন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন তিনজন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রাম এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান।
এদিকে ব্যাংকগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ১২ জন ব্যাংকারের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন ব্যাংকের পরিচালক রয়েছেন। আর করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও কয়েকজন ব্যাংকার। গত ৩ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (৫৬)।
আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্যাংকিং খাতে কর্মরত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা।
ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারীরিক দূরত্ব মানার জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আসন বিন্যাসে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ব্যাংকগুলোতে রোস্টার পদ্ধতি করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে কর্মীদের সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে রোস্টারিং ডিউটির ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। গতকাল (৪ জুন) এই দাবি মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।