সারেগামাপা থেকে উঠে আসা গায়ক নোবেল জীবনের প্রথম মৌলিক গানে লাইকের থেকে ডিসলাইক বেশি পেয়েছেন। ‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়কের ‘তামাশা’ গানটিকে ঘিরে ইউটিউবে এখন বিস্তর রঙ্গতামাশা।
সারেগামাপা থেকে উঠে আসা গায়ক মইনুল হাসান নোবেল দুই বাংলার মানুষের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাবড় বিচারক থেকে দর্শককূল সকলেরই সমর্থনের সঙ্গে ভালোবাসাও কুড়িয়েছিলেন নোবেল। কিন্তু রিয়্যালিটি শো শেষ হতেই যেন চূড়ান্ত দম্ভ গ্রাস করে ফেলে নোবেলকে। ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছিলেন নিমেষে। একের পর এক বিতর্ক। স্ত্রী-কে মারধরের অভিযোগ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আকথা-কুকথার ফুলঝুড়ি!
এসবরেই উত্তর বোধ হয় দিচ্ছেন ভক্তরা।যার প্রমাণ মিলছে নোবেলের মুক্তি পাওয়া নোবেলের প্রথম মৌলিক গানে। রবিবার গায়কের গান ‘তামাশা’ মুক্তি পেয়েছে। গানটির একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রকাশ করেছেন মইনুল হাসান। কিন্তু সেখানেই দর্শকদের পছন্দের তুলনায় অপছন্দের তালিকা দেখে যেন বড্ড বেমানান লাগছে।
ইউটিউবে প্রকাশিত হবার ২৩ ঘন্টা পর এখন পর্যন্ত নোবেলের এই গানে লাইক ২৪ হাজার আর ডিসলাইক ১৯০ হাজারও ছাপিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ২৪ হাজার মানুষ সেই তামাশা গানটি পছন্দ করছেন, আর ১৯০ হাজারের বেশি কিছু মানুষ এক্কেবারেই অপছন্দ করছেন নোবেলের সেই গান।
এই গান নিয়ে মার্কেটিং পলিসির অনেক কিছুই করেছিলেন গায়ক। কিন্তু আদতে সেই নেগেটিভ পাবলিসিটিতে লাভ তো কিছুই হয়নি, বরং ফের নেটিজেনদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
এখানেই তার উপরে বেজায় খাপ্পা ভক্তরা। এমনকী বিশেষজ্ঞ মহল তো একপ্রকার ধরেই নিয়ে বলছেন, ‘দম্ভই শেষ করল নোবেলকে।’ রাহাত নামে নোবেলেরই এক ভক্ত লিখছেন, ‘ভাবছিলাম তামাশা গানটা খুবই সুন্দর হবে। আর তার জন্য নোবেলের পক্ষে থেকে সবার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এখন দেখছি, সবাই ঠিক, নোবেল ভুল। আমাকে ক্ষমা করে দাও!’
প্রসঙ্গত, এই গানের মিউজিক ভিডিওতে নোবেলের স্ত্রী মেহেরুবা সালসাবিলকেও দেখা গিয়েছে। নোবেল নিজেও ছিলেন। নব্যবিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর ঘরকন্যার ঝলক ফুটে উঠেছে ‘তামাশা’র মিউডিক ভিডিওতে। তবে এতকিছু মন ভোলাতে পারেনি দর্শকদের।