প্রস্তাবিত বাজেটে জনগণের জীবন-জীবিকা ও মানবতার বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী এই দাবি করেন। যদিও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার বিকালে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
আমীর খসরু বলেন, ‘জিডিপি এবং রাজস্ব আহরণ যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল।’
সাবেক মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটে বরাদ্দের বড় বড় অংশ মেগা প্রজেক্টে দেয়া হয়েছে, যেগুলো এরইমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ। এগুলো চাইলেই উপেক্ষা করা যেতো। এই বাজেটে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসার কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না।’
খসরু বলেন, ‘দেশের মানুষের স্বাস্থ্যখাত ও সামাজিক নিরাপত্তা খাত সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়ার কথা। সেগুলো বঞ্চিত করে এসব প্রকল্পে টাকা দেয়া মানে দুর্নীতির ধারা অব্যহত রাখা।’
যে প্রক্রিয়ায় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে তা দুর্নীতি চলমান রাখার একটা প্রয়াস বলেও দাবি করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।