ডেস্ক রিপোর্ট
কখনও সুয্যি মামা জাগার আগে, কখনও জাগার পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল চলছেই। এবার সকালে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে তিনি মিছিল করলেন রাজধানীর বনানী এলাকায়।
তবে অন্যান্য দিনের মতো আজকের মিছিলটি অত সকালে হয়নি। মিছিল বের করতে করতে সকাল নয়টার কাছাকাছি বেজে যায়।
ঈদের তিন দিনের ছুটি শেষ হলেও পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় রাজধানীতে এখনও প্রায় সুনশান নীরবতা। আর এর মধ্যে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে বের হয় মিছিল। স্লোগান দেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে। চাওয়া হয় তার ‘সুচিকিৎসা’ ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি।
গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন রিজভী। ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি দলীয় কার্যালয়ের বারান্দা থেকে স্লোগান দিয়েছেন। মাঝে লিফফেট বিতরণের দিন তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কার্যালয়ের নিচে নেমেছিলেন। কিন্তু পুলিশ দেখে আবার উঠেও পড়েন।
গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় সচরাচর কার্যালয় ছাড়েন না তিনি। এর মধ্যে দুইদিন সূর্য উঠার আগে ও সাতসকালে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মিছিল করলেও রাজপথে তার অবস্থান করা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
রিজভীর ভোরের এই ঝটিকা মিছিল শুরু হয় গত ১০ মার্চ থেকে। সেদিন আলো ফোটার পর পর নয়াপল্টনে মিছিল করেন রিজভী। এক সপ্তাহ পরেও একই কাজ করেন তিনি। পরের মিছিল বের হয় ১৯ এপ্রিল।
কোনো একদিন গুলশান, কখনও কল্যাণপুর, কখনও ধানমন্ডিতে মিছিল করেছেন রিজভী।
১০ মার্চ প্রথমবার কাকডাকা ভোরে মিছিলের পর বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তাই সকালেই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি।’
শুক্রবার সকালে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে মিছিলটি বনানী কামাল আতাতুর্ক রোডের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে কাকলী মোড়ের কাছে এসে শেষ হয়। মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মীরা অংশগ্রহণ করে।
বরাবরই রিজভীর নেতৃত্বে এই মিছিলে অংশ নেয় জনা বিশেক মানুষ। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর মিছিল শেষে গাড়িতে করে আগের মতোই সরাসরি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এসে হাজির হন বিএনপি নেতা।