করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতিতে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সই হয়েছে-স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই চিঠির বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতর কর্মকর্তা বলতে কী বোঝানো হয়েছে এবং রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের আগে কী কী বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, কোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে তা সরেজমিনে পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে উপযুক্ততা বিবেচিত হলেই কোভিড পরীক্ষা/চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার পর উদ্ধৃত শর্তসমূহ প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যাদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দাবি করেছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি গ্রুপের প্রতারণার শিকার হয়েছে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মো জাহাঙ্গীর কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রিজেন্ট হাসপাতালকে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দিয়েই কোভিড চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠান মালিক শাহেদ করিমের সাথে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা আবুল কালাম আজাদের পূর্ব পরিচয় ছিল না। একই রকম ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে জেকেজি নামে আরেক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কেও।
অধিদপ্তরের দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতিষ্ঠান দুটির সাথে চুক্তি করা হয়। বলা হয়, গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা হচ্ছে।