রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে নিয়ে অভিযানে বেরিয়েছে র্যাব। বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় সাহেদের দুই নম্বর অফিসে অভিযান শুরু হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন কাশেম, র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এর আগে সকালেই র্যাব উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কে সাহেদের অফিসটি ঘেরাও করে রাখে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এসব তথ্য জানান।
বুধবার ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল। পরে সকাল নয়টায় সাহেদকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়। এরপর তাকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
এর আগে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার। তিনি বলেন, ‘সাহেদ আজ দেশত্যাগ করবে তাই বোরকা পরিহিত ছিল। তার সঙ্গে স্থানীয় দালালরা ছিল, যারা সীমান্ত পারাপার করে। এমন কিছু দালালের নামও আমরা পেয়েছি, তাদের ধরতে কাজ করছি। বাচ্চু দালাল নামে একজন দালাল মাঝি ছিল। আরও দুই-একজন তাকে নৌকায় পার হতে সাহায্য করছিল। আমরা তাদের নাম বলছি না, তারা আমাদের নেটওয়ার্কে রয়েছে। তাদেরকেও চেষ্টা করছি ধরে ফেলার।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সাহেদ ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করায় আমরা তার কাছে গিয়েও তাকে ধরতে পারছিলাম না। গতরাতে সে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেভাটা থানার কমলপুর গ্রামের ইছামতি খালের পাশে ভারতীয় বর্ডারের সীমানায় অবস্থান করেছে। কারণ, নদীর যে সীমানা সেখানে কাঁটাতারের বেড়া খুবই দুর্বল হয়। এতে তার পার হয়ে যাওয়া সহজ ছিল।’
গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে তা টেস্ট না করে ফলাফল প্রদান, হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পায়। এর একদিন পর হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন রিজেন্ট চেয়ারম্যান।